
ছবি:সংগৃহীত
বিদেশে উচ্চশিক্ষা, চাকরি কিংবা ভ্রমণের জন্য বিমান ভ্রমণই সবচেয়ে দ্রুত ও জনপ্রিয় মাধ্যম। তবে বিমানভাড়ার উচ্চমূল্য অনেকের জন্য ভ্রমণকে ব্যয়বহুল করে তোলে। তাই কিছু কৌশল অবলম্বন করলে কম দামে টিকিট কাটার সুযোগ তৈরি হয়।
১. অগ্রিম বুকিং: ভ্রমণের ১-৩ মাস আগেই টিকিট কেটে ফেলুন। এতে কম খরচে পছন্দসই সিট পাওয়া যায়।
২. ইনকগনিটো মোড: ওয়েবসাইটের কুকিজ এড়াতে ব্রাউজার ইনকগনিটো মোডে ব্যবহার করে সঠিক ভাড়া দেখতে পারেন।
৩. ফ্লেক্সিবল তারিখ নির্বাচন: শুক্রবার বা শনিবারের তুলনায় সোমবার বা বুধবার ফ্লাইট সস্তা হয়।
৪. বিভিন্ন সাইট যাচাই: গুগল ফ্লাইটস, স্কাইস্ক্যানার, কায়াক ইত্যাদি ব্যবহার করে তুলনামূলক দাম যাচাই করুন।
৫. ভাড়া অ্যালার্ট চালু: কম দামে ফ্লাইটের জন্য প্রাইস অ্যালার্ট চালু রাখলে সাশ্রয়ের সুযোগ থাকে।
৬. মাইলস ও পয়েন্ট ছাড়: নিয়মিত ভ্রমণকারীরা এয়ারলাইন্স বা ক্রেডিট কার্ড পয়েন্টে ডিসকাউন্ট পেতে পারেন।
৭. বাজেট এয়ারলাইন্স: লো-কস্ট ক্যারিয়ারগুলো খুঁজুন, তবে অতিরিক্ত চার্জ (লাগেজ, খাবার) যাচাই করে নিন।
৮. বিকল্প বিমানবন্দর: মূল গন্তব্যের কাছের ছোট বিমানবন্দর ব্যবহার করলে টিকিট সস্তা পড়তে পারে।
৯. রাউন্ড ট্রিপ বুকিং: একমুখী নয়, রাউন্ড ট্রিপ বুক করলে খরচ কমে যায়।
১০. অফ-পিক সময়ে ভ্রমণ: ছুটির মৌসুম এড়িয়ে ভোর বা গভীর রাতের ফ্লাইটে গেলে ভাড়া কম হয়।
এই কৌশলগুলো মেনে চললে বিদেশযাত্রায় খরচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই সময়মতো পরিকল্পনা, স্মার্ট ব্রাউজিং আর সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়ে বুকিং দিলে সহজেই মিলতে পারে সাশ্রয়ী ফ্লাইট।
ছামিয়া