ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য সুসানে গীতি

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ৫ অক্টোবর ২০১৮

নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য সুসানে গীতি

পপি দেবী থাপা কোন সেক্টরেই পিছিয়ে নেই আজ বাংলার নারী। নারী মুক্তি, নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এ দেশের নারী সমাজ দেশ কিংবা বিদেশ সবখানেই দৃঢ়তার সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছে। তৃণমূল থেকে উচ্চতর অফিস কক্ষ সব খানেই প্রতিনিয়ত নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে বাংলার আজকের নারী। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ যে বিশ্বাসী তা আবারও প্রমাণিত হলো। এবার এ ক্ষমতায়নের আর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ইতিহাসে প্রথম বারের মতো কোন নারী মেজর জেনারেল পদে পেলেন পদোন্নতি। তার এ প্রাপ্তিতে বাংলার নারী সমাজে উন্মোচিত হলো সাফল্যের আর এক নতুন দিগন্ত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রবিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সামছুল হক গতকাল সেনাসদর দফতরে তাকে র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন। ইতিহাসে বাংলার নারী যোগ্যতা, সাফল্যের আর এক দৃষ্টান্তের প্রথম নায়ক তিনি। প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি। এছাড়াও তিনি প্রথম নারী যিনি ১৯৯৬ সালে হেমাটোলজিতে এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলার গর্ব সুসানে গীতি। নারী সমাজের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। সুসানে গীতি ১৯৮৫ সালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। এবং তিনি সেনাবাহিনীতে নারী চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন ১৯৮৬ সালে। তখন তার পদবী ছিল ক্যাপ্টেন। নিজেকে সর্বক্ষণ কাজ আর মানব সেবার মধ্য দিয়ে চালিত করে চলেছেন সুসানে গীতি। নিজের যোগ্যতা নিয়ে দেশ ও বিশ্ব শান্তির জন্য জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজ করেছেন। বিভিন্ন সামরিক হাসপাতালে প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। বাংলার নারী সমাজের কাছে তিনি এগিয়ে যাওয়ার, প্রেরণার এক উৎস।
×