
সংগৃহীত
শহিদদের রক্তে রাঙানো coffins আর চারদিকে অশ্রু, প্রতিজ্ঞা আর প্রতিরোধের গর্জন! ইরানের রাজপথে এখন শুধু শোক নয়, প্রতিবাদ আর সম্মানের দাবি। ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ হারানো সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের বিদায়ী শোকযাত্রা এখন ‘জাতীয় প্রতিরোধের প্রতীক’ হয়ে উঠেছে।
তেহরানে আয়োজিত এ ঐতিহাসিক শোকানুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। হাতে জাতীয় পতাকা, মুখে ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’ স্লোগান। উপস্থিত ছিলেন ইরানের রাজনৈতিক-ধর্মীয় শীর্ষ নেতৃত্ব। আবেগঘন এই শোকানুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্বাস আরাঘচি বলেন, “আমরা রক্ত দিয়েছি, কিন্তু সম্মানের প্রশ্নে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই এক বিবৃতিতে বলেছেন, শহিদদের রক্ত বৃথা যাবে না। প্রতিটি আঘাতের জবাব ‘গণ-প্রতিরোধের আগুন’ হয়ে ফিরে আসবে।
গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে ইরানের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সেনা কর্মকর্তা ও একজন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন।ইসরায়েল বলছে, এটি তাদের 'আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ'।
আন্তর্জাতিকভাবে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই শোকানুষ্ঠান কেবল একজন শহিদকে বিদায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চে ইরানের অবস্থান জানান দেওয়ার কৌশলও। এটি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
ইরানি জনতা এখন শুধু প্রতিশোধ নয়, সম্মান ফেরত চায়। শহিদদের বিদায়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক নাগরিক বলেন,“আমাদের চোখে পানি, কিন্তু হৃদয়ে আগুন। আমরা থামি না।”
হ্যাপী