ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে ইসরায়েল দাবি করছে, তারা তেহরানের আকাশ সীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, অন্যদিকে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা ভয়াবহ আঘাত হানছে ইরান।
সোমবার (১৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন জানান, ইরানের ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের ইসফাহান শহরের অন্তত ১০০টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে—যার মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র মজুদকারখানা ও কমান্ড সেন্টার।
আইডিএফ দাবি করেছে, ইরান থেকে ধাপে ধাপে প্রায় ৬৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এক ডজনেরও বেশি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছোঁড়া হয়, যার বেশিরভাগই মাঝপথে ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে পাল্টা হামলায় ইরানও বসে নেই। হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তেলআবিব, হাইফা ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক আঘাত হানছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হোমফ্রন্ট কমান্ড দাবি করেছে, ইরান এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কারস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X-এ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য তেহরানের সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করা নয়, বরং ইরান সরকারের আগ্রাসী নীতির জবাব দেওয়া।”
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি জানান, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং পার্লামেন্ট ইতোমধ্যে একটি বিলও তৈরি করেছে।
এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান।
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এক ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ইমরান
