
ছবি: সংগৃহীত
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজার উপর ইসরায়েলের দমন-পীড়নের ঘটনাবলী বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনাম হলেও, এই যুদ্ধের প্রতিবেদন কাভারেজে স্পষ্টভাবে দুই ধরনের চিত্র উঠে এসেছে—একদিকে সমালোচনামূলক কিছু ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম, অন্যদিকে পশ্চিমা মূলধারার গণমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্টিং।
ইসরায়েলের অন্যতম সংবাদপত্র হা’আরেতজ (Haaretz) প্রথম থেকেই গাজায় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তারা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্দেশ্য ও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার নীতিকে প্রকাশ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
অন্যদিকে, মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর বড় অংশ ইসরায়েলের কার্যক্রমকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বা নিরপেক্ষতার মোড়কে সেটিকে যৌক্তিকতা দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত নিরাপত্তার ভাষ্যকেই বেশি জায়গা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা মিডিয়ার মধ্যে দেখা যায়—
প্রো-ইসরায়েল পক্ষপাত
দৃষ্টিভঙ্গির ভারসাম্যহীনতা
ফিলিস্তিনি কণ্ঠের অনুপস্থিতি
ইসরায়েলি সেনা ও সরকারের বয়ান অনুসরণ করার প্রবণতা
এই বৈষম্য শুধু গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না, বরং আন্তর্জাতিক জনমত ও নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফারাস ঘানি তার প্রতিবেদনে এই বিভাজনকেই সামনে এনেছেন—যেখানে কিছু সাহসী ইসরায়েলি মিডিয়া গণহত্যা ও দমননীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, আর পশ্চিমা মিডিয়ার একটি বড় অংশ নিরব বা পক্ষপাতদুষ্ট থাকছে।
শেখ ফরিদ