
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজায় চলমান যুদ্ধাবস্থায় হাসপাতাল সংকট চরমে উঠেছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রোগীদের অস্ত্রোপচার করতে হবে খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে। নাসের হাসপাতালের একমাত্র আইসিইউ, সিটিস্ক্যান, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, হিমোডায়ালাইসিস ইউনিট এবং রক্ত ব্যাংকও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির সতর্কবার্তায় বলা হয়, হাসপাতালের ১০ শতাংশ কর্মী ইতোমধ্যেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন, যা চিকিৎসা সেবা আরও হুমকির মুখে ফেলেছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার গাজার খান ইউনুস ও নেটজারিম করিডোরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নেটজারিম করিডোরে একটি ইসরায়েল-সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে হঠাৎ আঘাত হানে তারা। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাদের দিকে এগিয়ে আসলে কেবল তাকেই লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় এবং অন্যদের ‘ভয় দেখানো’ হয়েছে, তবে স্থানীয়রা বলছেন ভিন্ন কথা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সহায়তা কেন্দ্রটি শনিবার বন্ধ থাকলেও খাবারের আশায় হাজারো মানুষ তার আশেপাশে ভিড় করেছিলেন। এই হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আল আকসা ও আল আউদা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু পরবর্তী মাত্র দুই সপ্তাহেই ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৭৪ জন। আহত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি।
এদিকে, মিশরের রাফা সীমান্ত দিয়ে সহায়তা পৌঁছে দিতে চাওয়া আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা কর্মীদেরও বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। কায়রো বিমানবন্দরে আটক রাখা হয়েছে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে, যাঁরা গাজার পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে চেয়েছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ত্রাণ কেন্দ্র ও হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করার ঘটনা শুধু মানবিক বিপর্যয়ই নয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও উদাহরণ হয়ে উঠছে।
নোভা