
ছবি:সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাতের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তার উপর। বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপূর্ণ, যেখানে তেহরানের সামনে নিরাপদ কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার ইসরাইল “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে একটি বড় ধরনের হামলা চালায়। এতে লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। বিশেষ করে নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই হামলার জবাবে ইরানও ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে পাল্টা হামলা চালায়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান যদি এই হামলার জবাব না দেয়, তাহলে ইসরাইল আরও বড় আক্রমণ চালাতে পারে। অপরদিকে, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালে যুদ্ধ আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি পোস্টে জানান, দুই মাস আগেই তেহরানকে সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি দ্রুত পরমাণু ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। ট্রাম্প আরও বলেন, তেহরানকে দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ দেওয়া যেতে পারে, যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।
তবে বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ উপেক্ষা করে শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। আর এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
পরিস্থিতি বিবেচনায়, ইরানের উচিত একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও কৌশলী প্রতিক্রিয়া দেখানো। বিশ্লেষকদের ভাষায়, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক ফাঁদ তৈরি করেছে যাতে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখালেই যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এখন দেখার বিষয়, তেহরান কেমন পদক্ষেপ নেয়।
ছামিয়া