হাজিবিসের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় জাপানে নিহত ১

টাইফুন হাজিবিস ৬০ বছরের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে। এটি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বাতাসে গতি নিয়ে দেশটির মধ্যাঞ্চলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। বিবিসি। ভারি বৃষ্টি বয়ে নিয়ে আসা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে দেশটিতে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে ভারি বৃষ্টিতে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে গেছে। রাজধানী টোকিওর পূর্বাঞ্চলে শনিবার ভোরে ঝড়ো বাতাসে গাড়ি উল্টে ৪০ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে জানায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে। ঝড়ে আরও অন্তত চারজনের আহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দোকানপাট, কারখানা এবং ট্রেন চলাচল ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপকুলীয় এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন। হাজিবিস শব্দের অর্থ ‘গতি’। ফিলিপিন্সের ভাষা ‘তাগালগ’ থেকে শব্দটি নেয়া হয়েছে। মাত্র এক মাস আগেই জাপানে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফাইয়ের আঘাতে ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। জাপানে ‘ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যান্ড পিক্স’ এবং ‘রাগবি ওয়ার্ল্ড কাপ’র খেলা চলছে। উভয় খেলার আয়োজকরা শনিবারের সব ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করেছেন। ঝড়ের কারণে ১৬শর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। টোকিওর কাছে নারিতা বিমানবন্দরের কার্যক্রম বেলা ১১টা থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। টোকিও থেকে ট্রেন চলাচলও বন্ধ আছে। এর আগে ১৯৫৮ সালে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইডা’র আঘাতে জাপানে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।