ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

খাশোগি হত্যার পর প্রথম বিদেশ সফর ॥ মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে সৌদি যুবরাজ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

 সংযুক্ত আরব আমিরাত  সফরে সৌদি যুবরাজ

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার আঞ্চলিক সফর শুরু করলেন। যুবরাজের কঠোর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকা-ের পর এই প্রথম তিনি বিদেশ সফরে গেলেন। খাশোগি হত্যা নিয়ে দেশটি কূটনৈতিকভাবে গুরুতর সঙ্কটে পড়েছে। খবর এএফপির। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, রাজকীয় আদালত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুবরাজ বিন সালমান তার বাবা বাদশাহ্ সালমানের অনুরোধে ভাতৃপ্রতীম আরব দেশগুলো সফরে গেলেন। যদিও যুবরাজ যেসব দেশ সফর করবেন তার নাম এসপিএ জানায়নি। আমিরাতের সরকারী সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানায়, প্রথম দেশ সফরে ইউএই গেলে আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ যুবরাজ বিন সালমানকে তার দেশে স্বাগত জানান। ইয়েমেনে ইরান সমর্থনপুষ্ঠ হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আমিরাত ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দুই যুবরাজ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী এবং মধ্যপ্রাচ্য যেসব চ্যালেঞ্জ ও হুমকি মোকাবেলা করছে তা নিয়ে আলোচনা করেন। তিউনিস প্রেসিডেন্ট দফতর থেকে জানানো হয়েছে, যুবরাজ বিন সালমান মঙ্গলবার তিউনিসিয়া সফরে যাবেন। আগামী সপ্তাহে আর্জেন্টিনায় জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের প্রাক্কালে আঞ্চলিক সফরে গেলে যুবরাজ বিন সালমান। দুই অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্ট কলামিস্ট খাশোগি হত্যার কারণে রিয়াদ বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে রয়েছে। সৌদি নাগরিক পরে যুবরাজের কট্টর সমালোচকে পরিণত হওয়া সাংবাদিক খাশোগির হত্যা ও তার মৃতদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করার বিষয়টিকে সৌদি আরব দুর্বৃত্তদের অভিযান হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে সিআইএ বিশ্লেষকদের করা বিশ্লেষণ যা মার্কিন গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে তাতে জানা গেছে, ওই অভিযানটি যুবরাজ বিন সালমানের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছে। সিআইএর প্রতিবেদন মূল্যায়নে যুবরাজের নির্দেশে হত্যাকা-টি ঘটেছে এমন কথা জানার পরও মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, এজন্য ওয়াশিংটন সৌদির ওপর থেকে তার সমর্থন প্রত্যাহার করবে না। তুর্কী প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান ও যুবরাজ বিন সালমান বৈঠকে বসতে পারেন। এ ধরনের বৈঠক হলে তা হবে হত্যাকা-ের পর দুই দেশের নেতার মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। যার ফলে যুবরাজ ও তার দেশের ভাবমূর্তি উভয়ই রক্ষা পাবে। এর আগে এরদোগান বলেছিলেন, খাশোগি হত্যার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেয়া হয়েছিল।
×