ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

অটোয়া-রিয়াদ সম্পর্কের অবনতি

বিরোধ মেটাতে সুইডেন-জার্মানির সহায়তা চেয়েছে কানাডা

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১১ আগস্ট ২০১৮

   বিরোধ মেটাতে সুইডেন-জার্মানির  সহায়তা চেয়েছে কানাডা

সৌদি আরবের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক বিবাদের সমাধানে সহায়তা করার জন্য জার্মানি ও সুইডেনসহ মিত্রদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে কানাডা। বৃহস্পতিবার কানাডার সরকারী এক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপির। কূটনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এ বিষয়ে দু’জন ইউরোপীয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। অতীতে জার্মানি ও সুইডেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সৌদির প্রতি আহ্বান জানানোয় দেশটির রোষানলে পড়েছিল। ওই কর্মকর্তা বলেন, ফ্রিল্যান্ড তাদের সঙ্গে বিরোধ কিভাবে সমাধান করেছিলেন তা বোঝার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি তিনি তাদের কানাডাকে সমর্থনেরও অনুরোধ জানান। এছাড়াও অটোয়া আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ব্রিটেনের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেশ দু’টির সঙ্গে সৌদির ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এদিকে নারী অধিকার সমর্থনকারী, দাতব্য সংগঠন ও নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী সৌদি নারী অধিকার সম্পর্কে কানাডার মন্তব্যের প্রতি সুস্পষ্ট সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এতে শামিল হওয়ার আহ্বান জানায়। তারা রিয়াদকেও অবিলম্বে নারী অধিকারকর্মীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফ্রিল্যান্ডের মন্তব্যে মানবাধিকারের জন্য তার অসমর্থিত অবস্থানের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী নারী অধিকারের বিষয়ে কথা বলায় তার সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন তারা। এক বিবৃতিতে ২২টি বেসরকারী গোষ্ঠী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছে, আমরা নারী অধিকার কর্মী সামার বাদাউই ও নাসিমা আল-সাদাকে মুক্তি দেয়ার জন্য কানাডার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিবৃতিতে নোবেল ওমেন্স ইনিশিয়েটিভ, অক্সফাম ও লয়ারস উইদাউট বর্ডারর্স রয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অবস্থা সোমবার থেকে চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সেদিন রিয়াদ কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ও কানাডায় নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠায়। একই সঙ্গে সৌদি আরবের অধিকারকর্মীদের আটকাদেশ নিয়ে কথা বলায় নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ স্থগিত করে। বুধবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুুডো দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছিলেন, কানাডা সবসময় দৃঢ়ভাবে ও স্পষ্টভাবে মানবাধিকারের প্রশ্নে ব্যক্তিগতভাবে ও জনসমক্ষে কথা বলে যাবে। তা সেটি নিজদেশে ও বিদেশে যেখানেই প্রয়োজন হোক না কেন কথা বলবে। কানাডিয়ানরা আশা করেন যে, প্রকৃতপক্ষে সারাবিশ্বের প্রত্যাশা কানাডা যেন বিষয়টির নেতৃত্ব দেয়। ট্রুুডো জানান যে, ফ্রিল্যান্ড মঙ্গলবার কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হিসেবে বিষয়টি নিয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়েরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন।
×