ইউটিউব সদর দফতরে হামলা, আতঙ্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ব্রুনোতে অবস্থিত গুগলের নিজস্ব ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবের সদর দফতরে মঙ্গলবার এক নারী হামলাকারী গুলি চালিয়ে তিনজনকে আহত করেছে। গুলির ঘটনা শুরু হওয়ার পর সেখানকার কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করে পরে ওই নারী আত্মহত্যা করেন। খবর এএফপির। পুলিশ জানায়, ক্যালিফোর্নিয়ার সান ব্রুনোতে ইউটিউব সদর দফতরে গুলি চালিয়ে তিনজনকে আহত করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন এক নারী। আহতদের মধ্যে ৩৬ বছর বয়সী একজনের অবস্থা গুরুতর। তিনি হামলাকারী ওই নারীর বয়ফ্রেন্ড বলে খবর দিয়েছে সিবিএস নিউজ। আহতদের মধ্যে ৩২ ও ২৭ বছর বয়সী দুই নারীও আছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোলাগুলি শুরু হলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, শুরু হয় ছোটাছুটি। এনবিসিরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী দফতরটির বহিঃপ্রাঙ্গণ ও ডাইনিং এলাকায় এসে প্রায় লাঞ্চটাইম শুরুর সময় গুলি করতে শুরু করে। সান ব্রুনোর পুলিশ প্রধান এড বারবেরিনি বলেন, স্থানীয় সময় ১২টা ৪৮ মিনিটে পুলিশ কর্মকর্তারা ওই দফতরটিতে গিয়ে ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’ দেখতে পান। বহু লোক তখন পালিয়ে যাচ্ছিল। তারা প্রথমে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ইউটিউব সদর দফতরের সামনে পড়ে থাকতে দেখেন। এর কয়েক মিনিট পর অস্ত্রধারী এক নারীর লাশ পাওয়া যায়। যিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের। পরে আরও দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মঘাতী ওই নারীই হামলাটি চালিয়েছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। সে একটি পিস্তল নিয়ে হামলাটি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলেনি তারা। ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে। আহত তিনজনকে জাকারবার্গ সান ফ্রান্সিসকো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩২ বছর বয়সী নারীর অবস্থা গুরুতর কিন্তু ২৭ বছর বয়সীর অবস্থা অনেকটা ভাল। পালাতে গিয়ে গোড়ালিতে আঘাত পাওয়া আরেক ব্যক্তিকেও হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আতঙ্কিত কর্মীরা জানান, তারা ভবনের মেঝেতে রক্ত দেখতে পেয়েছেন। টুইটারে ইউটিউব কর্মী টোড শেরম্যান জানান, আমরা তখন একটি বৈঠকে ছিলাম। তারপর আমরা লোকজনকে দৌড়ে পালাতে দেখলাম। প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম ভূমিকম্প। সবাই যখন দৌড়ে পালাতে থাকে তখন এক ব্যক্তি জানান বন্দুক হাতে একজন হামলা চালিয়েছে অফিসে। সে সময় প্রতিটি নতুন কর্মীকে বন্দুকধারী মনে হচ্ছিল।