ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যাকাও ও হংকংয়ের মধ্যে তৈরি হচ্ছে বিশ্বেও দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু

প্রকাশিত: ০৩:২৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

ম্যাকাও ও হংকংয়ের মধ্যে তৈরি হচ্ছে বিশ্বেও দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু

হংকং, ম্যাকাউ ও চীনের মূল ভূমির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সেতু বলে প্রচারিত এ স্থাপনাটিকে প্রকৌশল বিস্ময় হিসেবে মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করছেন সেতু সমর্থকরা। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, বহু শত কোটি ডলারের এ প্রকল্পটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে এবং এটি একটি নিষ্প্রয়োজনীয় ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি প্রকল্প। কাজে বিলম্ব, বাজেট অতিক্রম, দুর্নীতির অভিযোগ ও নির্মাণ শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণে সেতুটি প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৭ সালের শেষে উদ্বোধন করা যাবে। এ আশা খুবই কম। -এএফপি। ৫৫ কিলোমিটার (৩৪ মাইল) দীর্ঘ এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৯ সালে। এতে রয়েছে সর্পিল সড়ক সেতু ও আন্ডার ওয়াটার টানেল এবং সংযুক্ত হচ্ছে হংকংয়ের লানতাউ দ্বীপ। মূল চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ঝুহাই ও জুয়াখেলার ছিটমহল মাকাউয়ের সঙ্গে। এতে পার্ল নদীর মোহনা অতিক্রম করে যাবে সেতুটি। কর্মকর্তারা বলেছেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে এবং ভ্রমণে সময় খরচ হবে কম। কিন্তু হংকংয়ে বিরোধীরা এ সেতুটিকে দেখছে এ আধা স্বায়ত্তশাসিত নগরীর ওপর বেজিংয়ের কর্তৃত্বকে দৃঢ় করার আরেকটি উদ্যোগ হিসেবে। সীমান্তের বিষয়ে কিছু অদৃশ্য অধিকার ভোগ করে আসছে হংকং। কিন্তু গণতন্ত্র সমন্বিত যুব আন্দোলনকারীদের চ্যালেঞ্জ ও নতুন করে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত চীন কর্তৃপক্ষকে ক্ষুব্ধ করেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা চীন সার্বভৌমত্বের প্রতি কোন হুমকি সহ্য করবে না। গণতন্ত্র সমর্থিত পার্লামেন্ট সদস্য কর্তৃক কা-কি বলেছে, চীন সরকার হংকং ও মূল চীনের অন্যান্য অংশের মধ্যেকার সীমান্ত রেখাকে দুর্বোধ্য করার চেষ্টা করছে। শহরটির রয়েছে ব্যাপক গৃহায়ন সমস্যা এবং ক্রমবর্ধমান সম্পদ ব্যবধান। তাই, সেতু নির্মাণে ব্যয় করা হংকং সরকারের অর্থের বিনিময়ে ইতিবাচক ফল আসবে কিনা এ বিষয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গণতন্ত্র সমর্থিত পার্লামেন্ট সদস্য ক্লডিয়া মো বলেছেন, হংকংয়ের জন্য সত্যিকারভাবেই এ সেতুর প্রয়োজন নেই। মূল ভূমির সঙ্গে স্থল, আকাশ ও জলপথে সংযোগ রয়েছে আমাদের।
×