ভেনিজুয়েলায় রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের পথ হিসেবে রবিবার ঐতিহাসিক ভোটাভুটি শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে না পেরে সে দেশের নাগরিকরা রবিবার আঞ্চলিক নির্বাচনের ডাক দিয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে মাদুরো ও বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখার সুযোগ হবে। খবর এএফপি, দ্য ডেইলি সান ও ইয়াহু নিউজের।
নির্বাচনে বিরোধী দল বড় ধরনের বিজয়ের প্রত্যাশা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেনিজুয়েলার ২৩টি প্রদেশের মধ্যে বেশিরভাগ প্রদেশেই গবর্নর নির্বাচনে বড়সড় বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারে বিরোধীপক্ষ। এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিরোধী দলের বিক্ষোভে অন্তত এক শ’ ২৫ জন নিহত হয়েছে। দেশটির তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক ধসের কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে করায়ত্ত করায় আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহ মাদুরোকে ক্ষয়িষ্ণু গণতন্ত্রের জন্য দায়ী করে আসছে। ২০১৫ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর রবিবারের নির্বাচনে বিরোধী দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যারা রবিবারের এ গণভোটের আহ্বান করেছেন তাদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হেনরিক ক্যাপরিলসও রয়েছেন। মিরান্ডা প্রদেশের বিদায়ী গবর্নর ক্যাপরিলস জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা বাইরে বেরিয়ে এসো, কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দাও, বিজয়ী হও এবং মাদুরোর একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করো।’ বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন রাউন্ডটেবল (এমইউডি) দেখতে পেয়েছে, বিক্ষোভ দমনের পর মাদুরোর হাত আরও শক্তিশালী হয়েছে। কারাকাসের পূর্বাঞ্চলের একটি সড়কে বিরোধীপক্ষের নির্বাচনী প্রচারপত্র হাতে ৫০ বছর বয়সী দোকানদার জোয়ান কার্লোস চিৎকার করে বলছেন, ‘ভোট দাও, ভোট দাও। আমাদের হতাশা দূর করতে হবে।’ সংবিধান পরিষদ গঠন করার পর দেশে ও বিদেশে মাদুরোর বিরেুদ্ধে যে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে, এ নির্বাচন কিছুটা কম হলেও মাদুরোর জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে। মাদুরো তার বক্তেব্যে চলতি সপ্তাহে সঙ্কেত দিয়েছেন যে, রবিবারের নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে এবং পরিষদের পক্ষে ভোট পড়বে। তিনি জানান, রবিবারে নির্বাচনে ‘বিজয়ী গবর্নররা ও তাদের অধস্তনরা পরিষদে শপথ নেবেন’। তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি অনিবার্য প্রয়োজন।’