ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেনাঘাঁটিতে সাক্ষাতের পর ম্যাক্রোঁ

জঙ্গী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত মালিতে ফরাসী সৈন্য থাকবে

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২১ মে ২০১৭

জঙ্গী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত মালিতে ফরাসী সৈন্য থাকবে

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, জঙ্গীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত মালিতে ফরাসী সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার মালিতে ফরাসী সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ফরাসী প্রেসিডেন্ট বলেন, বারখানে অভিযান তখনই থামবে যখন এ অঞ্চলে আর কোন ইসলামী জঙ্গী থাকবে না। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির। ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলাজিজ বুতেফিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। নতুন ফরাসী প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেয়ার পর দ্বিতীয় সফরে মালিতে পৌঁছান। এ সংক্ষিপ্ত সফরে তিনি পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৩ সাল থেকেই ইসলামী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকারের হয়ে লড়াই করছে ফরাসী সেনারা। এর আগে প্রথম বিদেশ সফরে জার্মানি গিয়ে দেশটির চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠক করেন ম্যাক্রোঁ। মালিতে অবস্থানের সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, পশ্চিম আফ্রিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জার্মানির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে আশাবাদী তিনি। ফ্রান্সের কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে দায়িত্ব নিয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এলিসি প্যালেসে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি দায়িত্ব নেন। ম্যাক্রোঁ এর আগে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। মাত্র এক বছর আগে তিনি দলটি গঠন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে মোতায়েন ফরাসী সেনাদলের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এটা ছিল ইউরোপের বাইরে ম্যাক্রোঁর প্রথম সরকারী সফর। ক্ষমতায় আসার প্রথম সপ্তাহ শেষে তিনি মালির উত্তরে গাও শহরে যান। এখানে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জাতিগত সংঘাত চলছে। মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবকোর কিতার সঙ্গে ম্যাক্রোঁ বৈঠক করেন। এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই নিয়ে ফের তার সঙ্গে কথা বলেন ম্যাক্রোঁ। তিনি সেখানে মোতায়েন ১৬০০ ফরাসী সৈন্যকেও দেখতে যান। ফ্রান্সের বাইরে এটাই বৃহত্তম ফরাসী সেনা ঘাঁটি। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে ম্যাক্রোঁ মালির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ম্যাক্রোঁ পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে আলজিয়ার্স চুক্তিতে। মালির রাজধানী বামাকোতে সংক্ষিপ্ত সফরের মধ্য দিয়ে ম্যাক্রোঁ এ অঞ্চলের প্রতি তার প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রাখলেন। ফ্রান্স ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে তাদের সাবেক উপনিবেশ মালিতে আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট তুয়ারেগ জঙ্গীদের বিতাড়িত করতে হস্তক্ষেপ করে। ফ্রান্স ওই অঞ্চলে ৪ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। সৌদিতে সম্মেলনে যাবেন না সুদানী প্রেসিডেন্ট ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফরের সময় কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশের নেতাদের নিয়ে যে সম্মেলন করবেন বলে কথা রয়েছে তাতে যোগ দেবেন না সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির। বশিরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সুদানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সুনা জানিয়েছে, রিয়াদ সম্মেলনে যোগদানে অপারগতা প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা উপেক্ষা করে সৌদি বাদশাহ ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য সুদানের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তার প্রথম বিদেশ সফরে শুক্রবার সৌদি আরব পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
×