ভারতের কানপুরে সাম্প্রতিক ট্রেন দুর্ঘটনার পর দেশটির রেল খাতের সঙ্কটপূর্ণ নানা দিক উঠে আসছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেল খাতে প্রায় ২ লাখ ১৭ হাজার জনশক্তি ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু নিরাপত্তামূলক পদগুলোতে ১ লাখ ২৭ হাজার জনবল নেই। ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনার এটি অন্যতম প্রধান কারণ। ট্রাকম্যান, পয়েন্টসম্যান, প্যাট্রোলম্যান, টেকনিশিয়ান, স্টেশন মাস্টারসহ ২০১৬ সালের বর্তমান অবস্থায় নিরাপত্তামূলক পদগুলোতে ওই পরিমাণ লোকবল সঙ্কট রয়েছে। এসব লোকবল নিরাপদ ট্রেন যাত্রায় সরাসরি জড়িত। কিন্তু বিপুলসংখ্যক জনবল ঘাটতির কারণে বারবার দুর্ঘটনায় পড়ছে ট্রেন। শনিবার রাত ৩টার দিকে উত্তর প্রদেশের কানপুরে পুখরায়ায় ইনদোর-পাটনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এ দুর্ঘটনায় শেষ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জনে। আহত প্রায় ২০০ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। অনেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও অঙ্গহানি ও গুরুতর আঘাতের কারণে তাদের পঙ্গু হয়ে বাকি জীবন কাটাতে হবে। বড় অঙ্কে নিরাপত্তাবিষয়ক লোকবল সঙ্কট থাকায় বিদ্যমান কর্মীদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়, যা দিনে ১৫ ঘণ্টার বেশি। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
কাশ্মীর সীমান্তে পাক-ভারত গুলিবিনিময় ॥ নিহত ১০
জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলিতে চার বেসামরিক পাকিস্তানী ও ছয় ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, পাকিস্তান শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামে সোমবার ভারতীয় সেনাদের গোলার আঘাতে চার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১৮ জন। এর জবাবে পাকিস্তানী বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে ছয় ভারতীয় সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখার নিকায়াল সেক্টরের সহকারী কমিশনার টেলিফোনে ডন অনলাইনকে জানিয়েছে, প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, সকাল থেকে ভারতীয়দের মুহুর্মুহু মর্টার শেল হামলায় দুজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়। নিহতরা হচ্ছে- ছোটা দার দেবসি গ্রামের আলতাফ (৪০), মাথরানি গ্রামের নাজিয়া (৩০)। ভিম্বার জেলার সামাহনি সেক্টরেও দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এই সেক্টরে বারো গ্রামে তাসাবীর ও আতিক নামে দুই শিশু নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। সোমবার আরও কয়েকটি সেক্টরে গোলাগুলি হয়েছে। -ডন