ইসলামিক স্টেট (আইএস) শনিবার ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কিরকুক শহরের কাছে দুই দফা রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালিয়েছে। হামলায় তিন বছর বয়সের এক মেয়ে শিশু মারা গেছে এবং আহত হয়েছে প্রায় ৬শ’ মানুষ। ইরাকী কর্মকর্তারা এ কথা বলেছেন। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের।
নিরাপত্তা ও হাসপাতাল কর্মকর্তারা বলেন, ছোট্ট শহর তাজায় শনিবার প্রথম দিকে এ হামলা চালানো হয়। এ শহরে তিনদিন আগেও রাসায়নিক গ্যাস ও রকেট হামলা চালানো হয়। তাজায় এক স্থানীয় কর্মকর্তা আদেল হোসেন বলেন, নারী ও শিশুদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা তাদের রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন। হোসেন বলেন, এলাকায় রাসায়নিক উপাদানের অস্তিত্ব পরীক্ষার জন্য এক জার্মান ও আমেরিকান ফরেনসিক টিম পাঠানো হয়েছে। তাজা হাসপাতালের নার্স হেলমি হামদি বলেছেন, আহতরা পুড়ে যাওয়া স্থানে ক্ষত, শ্বাসকষ্ট ও পানি শূন্যতায় ভুগছে। তিনি বলেন, ৮ জনকে চিকিৎসার জন্য বাগদাদ পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন ও ইরাকী কর্মকর্তারা বলেছেন, আমেরিকান বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা গত মাসে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এক অভিযানে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টকালে আইএস ইউনিট প্রধানকে আটক করে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বলেছে আইএস এ পর্যন্ত ক্লোরাইন ও নিম্নমানের সালফার মাস্টার্ড গ্যাসসহ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্নেল স্টেভ ওয়ারেন শুক্রবার বলেছেন, এটা এক যথার্থ হুমকি। তবে বড় ধরনের নয়। খোলাখুলিভাবে বলতে হয়, আমরা এ ব্যাপারে মোটেই নিশ্চুপ থাকতে পারিনি। বাগদাদে ইরাকী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ও পাশ্চাত্যের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, জোট দু’মাস আগে আইএসের রাসায়নিক অস্ত্র অবকাঠামো লক্ষ্য করে বিমান হামলা ও বিশেষ অভিযান শুরু করে। কর্মকর্তারা বলেন, আইএম জঙ্গীদের গবেষণাগার ও সরঞ্জামাদি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। উপরন্তু বিশেষ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের ওপর।