জাপানের একদল গবেষক সম্প্রতি লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির শারীরিক অবয়ব দিয়ে তৈরি করেছেন একটি রোবট। ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিনোরু আসাদা রোবটটিকে চলাফেরা ও কথা বলার শক্তি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার অংশ হিসাবে রোবাটিকস বিভাগের এই অধ্যাপক ও তার দল প্রায় দুই বছরের বেশি সময় নিয়ে রোবট ভিঞ্চিকে আধুনিক রূপ দিয়েছেন। খবর ওয়েবসাইটের।
আন্তর্জাতিক রোবোকাপ ফেডারেশনের সাবেক এই পরিচালক বলেন, বর্তমানে রোবট প্রযুক্তি বিশ্বে একটি বিশেষ অবস্থান তৈরি করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এর কার্য-পরিধির প্রসার হওয়ায় আমরাও কিছুটা ভিন্ন স্বাদ দেয়ার চেষ্টা করেছি। অধ্যাপক মিনোরু আরও বলেন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি (১৪৪২-১৫১৯) প্রায় পাঁচ শ’ বছর আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও তার চিত্রকর্ম বিশ্ববাসীকে এখনো অবাক করে। তিনি বলেন, আমরা ইতালির একটি সংস্থার অনুরোধে ভিঞ্চিকে রোবাটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেই। সেই ধারাবাহিকতায় ইতালির রেনেসাঁ যুগের এই পুরোধাকে শারীরিক কাঠামো দেই। তিনি বলেন, একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে ভিঞ্চিকে কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। দেখে কেউ বুঝতেই পারবেন না ইনি আসল ভিঞ্চি নন।
অধ্যাপক মিনোরুর কাছে সংরক্ষিত ভিডিওতে দেখা যায়, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি চোখ নাড়াচ্ছেন। অধ্যাপকের নির্দেশমত তাকে কথাও বলতে শোনা যায়। এ প্রসঙ্গে জাপানের রোবট উন্নয়ন সংস্থার সদস্য মিনোরু বলেন, আমরা মোটামুটি চূড়ান্তভাবে রোবটটি তৈরি করে ফেলেছি। তবে স্বয়ংক্রিয় ভাষা রূপান্তরের জন্য কিছু করা যায় কি না সেই বিষয়ের ওপর কিছু কাজ চলছে। চলতি মাসে ইতালির জাতীয় জাদুঘরে নতুন এই লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে প্রদর্শন করা হবে। আর বছরের শেষ দিকে জাপানের ওসাকা শহরের ওমেদাতে আরও একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। ১৯৯২ সাল থেকে রোবটের প্রয়োগিক দিক নিয়ে গবেষণা করে আসা অধ্যাপক মিনোরু বলেন, আমরা চিকিৎসাবিদ্যায় রোবটের প্রয়োগ দেখতে চাই।