জাতিসংঘ মিশনের একটি স্থাপনা
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) জাতিসংঘ বিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক এবং তিনজন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনটি মনুস্কো নামে পরিচিত। জাতিসংঘের এই মিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই সহিংসতার কারণে গত সোমবার দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব এ্যান্তোনিও গুতেরেস এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন জানিয়ে জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যে কোন হামলা যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। আর তাই কঙ্গো কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনাগুলো তদন্ত করতে এবং দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ফারহান হক নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার কঙ্গোর গোমা শহরে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং মঙ্গলবার বুটেম্বোতে তা ছড়িয়ে পড়ে। এখানেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একজন সৈনিক এবং দুজন জাতিসংঘ পুলিশকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর উভয় শহরেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক হামলা করা হয়।
এ সময় শত শত বিক্ষোভকারী শান্তিরক্ষীদের ওপর ঢিল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া জাতিসংঘ ভবনে ভাংচুর এবং আগুনও দেয় বিক্ষোভকারীরা। বুটেম্বো শহরের পুলিশ প্রধান পল এনগোমা বলেছেন, বুটেম্বোতে অন্তত সাতজন বেসামরিক লোক নিহত এবং অজ্ঞাত সংখ্যক আহত হয়েছেন। অবশ্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে নানা ধরনের অভিযোগে সামনে এসেছে।
জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, যদি কোন আঘাত বা মৃত্যুর জন্য জাতিসংঘের বাহিনীর কোন দায় থাকে, তা হলে অবশ্যই আমরা তা খতিয়ে দেখব। তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে এবং প্রয়োজনে শুধু সতর্কতামূলক গুলি চালানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।