ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

জীবন সংগ্রামের এই পথচলায় বাবা যেন রথের সারথি

অর্ণব দাশ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৪:১১, ১৫ জুন ২০২৫

জীবন সংগ্রামের এই পথচলায় বাবা যেন রথের সারথি

জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী জেমসের গানের লাইন দিয়ে যদি শুরু করি তবে—
“ছেলে আমার বড় হবে, মাকে বলত সে কথা।
হবে মানুষের মতো মানুষ, এক লেখা ইতিহাসের পাতায়।”

এমন গানের প্রতিটি লাইনের মতোই আমাদের বাবারা স্বপ্ন দেখেন—একদিন তাঁর সন্তান ইতিহাস সমান কিছু হবে।
ছাতা হয়ে যে মানুষটা আমাদের আগলে রাখেন, তাঁর কথা মনে করার জন্য কেবল একটি দিন যথেষ্ট নয়—বরং প্রতিটি দিনই বাবা দিবস।

আমরা যারা পড়াশোনার কারণে পরিবার থেকে দূরে থাকি, আমরাই হয়তো সবচেয়ে বেশি এই জিনিসটা অনুভব করি। হাজারো ক্লান্তি শেষে মুখে খুব বেশি কিছু বলা হয়ে ওঠে না, তবে বাবার চোখের পাতায় আর ক্লান্ত হাসিতে আমি যেন সব কথা বুঝে যাই।

সন্তানদের জন্য বাবার এই আত্মত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম আর নিঃশব্দ ভালোবাসা আমাদের প্রতিদিন শক্তি যোগায়। মুখ ফুটে হয়তো কখনও বলা হয়ে উঠবে না ঠিক কতটা ভালোবাসি বাবা। তবে তোমার সেই ছোট্ট অর্ণব তোমায় অনেক ভালোবাসে।

বাবার প্রতিদিনের পরিশ্রমে লেখা হয় একটি পরিবারের ভালো থাকার গল্প। আর মা হলেন তাঁর অকৃত্রিম সহযোগী। আমার কাছে সবসময় মনে হতো, বাবা মানেই ভয় দিয়ে মোড়ানো এক আশ্রয়। শাসনের বেড়াজালে ছেলেরা বাবাকেই হয়তো সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।

আমার পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকেই বাবা সবচেয়ে বেশি তদারকি করতেন। হাজার ব্যস্ততা আর ক্লান্ত শরীর নিয়ে দিন শেষে বাসায় এসেও কখনও তদারকিতে ভুল করতেন না—আমার পড়ালেখা কেমন চলছে, তা জানার চেষ্টা করতেন। বাবার প্রতি এই ভয়ের অনুভব সম্ভবত সেখান থেকেই জন্ম নেয়।

পরিবারের সবার মুখে শোনা সেই ছোটবেলার গল্প—বাবার কোল-পিঠে চড়ে চারপাশ দেখা আর বাবার আঙুল ধরে হাঁটার স্মৃতিগুলো আমাকে বারবার শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

তাই তো ছেলেরা বাবা হয়, কিন্তু বাবারা কখনো ছেলে হয়ে উঠতে পারেন না।
পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি রইল বিশ্ব বাবা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা।

সানজানা

×