অনলাইন ডেস্ক ॥ গত বৃহস্পতিবার সেই সময় ‘সরকার থ্রি’-র প্রোমোশনাল ইভেন্টে ব্যস্ত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। কিন্তু বিনোদ খন্নার প্রয়াণের খবর পাওয়ার পর আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি। সোজা পৌঁছেছিলেন হাসপাতালে। সেখান থেকে শ্মশান পর্যন্ত শেষযাত্রাতেও উপস্থিত ছিলেন বিগ বি। শুধু কলিগ নন, শুধু বন্ধু নন, অমিতাভের কাছে বিনোদ ছিলেন আরও বেশি কিছু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহেনশা লিখেছেন, ‘উনি যেভাবে হাঁটতেন, সেভাবে আর কেউ হাঁটে না। ঘরভর্তি লোকের মধ্যেও ওঁর যে জোরালো উপস্থিতি ছিল তা কারও ছিল না। চারপাশে বাকিদের যে ভাবে আলোকিত করে রাখতেন, তেমন ক্ষমতা আর কারও নেই।’
বহু ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন অমিতাভ-বিনোদ। ‘অমর-আকবর-অ্যান্টনি’ মতো ছবি আজও সিনেপ্রেমীদের প্রশংসা পায়। অমিতাভ শেয়ার করেছেন, ‘‘১৯৬৯। বান্দ্রার অজন্তা আর্টস অফিসে আমি প্রথম ওঁকে দেখি। সুদর্শন এক তরুণ। আমি তখন কাজ খুঁজতে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে সুন্দর করে হেসেছিলেন। তখন তিনি ‘মন কা মিত’-এ মতো ছবি করছেন। আর আমি স্ট্রাগল করছি। যেখানে হোক একটা চরিত্রে সুযোগ পাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’
অমিতাভের মতে, বড় তারকা হলেও সকলের সঙ্গে খুব সহজ ভাবে মিশতে পারতেন বিনোদ। অমিতাভের কেরিয়ারের শুরুর দিকেও বিনোদ খুব সহজেই তাঁকে আপন করে নিয়েছিলেন। পরে এতটাই বন্ধুত্ব হয়ে যায় যে, এক মেকআপ রুম হোক বা একই লাঞ্চ দু’জনেই অবলীলায় শেয়ার করতেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা