দ্বিতীয় অধ্যায়
এই অধ্যায় থেকে তোমরা যা শিখবে-
১। প্রাণিকোষের গঠন ব্যাখ্যা করতে পারবে।
২। প্লাজমামেমব্রেনের রাসায়নিক গঠন বর্ণনা করতে পারবে।
৩। ফ্লুইড মোজাইক মডেল বর্ণনা করতে পারবে।
পাঠ শিরোনাম : প্রাণিকোষের গঠন, প্লাজমামেমব্রেন এর অবস্থান, রাসায়নিক গঠন ও কাজ
র) একটি প্রান্ত পানি গ্রাহী মস্তক,
রর) অন্য প্রান্ত পানি বিদ্বেষী লেজ।
ফসফোলিপিড অণুর ফাঁকে ফাঁকে কোলেস্টেরল অণু থাকে।
(খ) লিপিড বাইলেয়ার : ফসফেলিপিড দিয়ে গঠিত। এতে প্রাণিগ্রাহী
মাথা ও পানিবিদ্বেষী লেজ আছে।
(গ) মেমব্রেন প্রোটিন : তিন
ধরনের প্রোটিনশনাক্ত করা হয়েছে।
১) প্রান্তীয় প্রোটিন,
২) অন্তর্নিহিত প্রোটিন,
৩) আন্তঃঝিল্লি প্রোটিন
(ঘ) গ্লাইকোক্যালিক্স : গ্লাইকোপ্রোটিন ও গ্লাইকোলিপিড কে একত্রে গ্লাইকোক্যালিক্স বলা
হয়।
(ঙ) কোলেস্টেরল : প্রাণিকোষের ঝিল্লীতে এটি অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে।
প্লাজমামেমব্রেনের কাজ :
১) কোষের সজীব অংশকে রক্ষা করা।
২) কোষের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করা।
প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর নামগুলো কী কী?
প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর গঠন ও কাজ বর্ণনা কর, ফ্লুইড মোজাইক মডেল কী?
প্রাণিকোষ ও ফ্লুইড মোজাইক মডেলের চিহ্নিত চিত্র অংকন করে আন।
সাইটোপ্লাজম (ঈুঃড়ঢ়ষধংস)
প্লাজমা মেমব্রেন থেকে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন পর্যন্ত বিস্তৃত সজীব, ঈষদষ্ণু, দানাদার ও অর্ধতরল প্রোটোপ্লাজমীয় পদার্থকে সাইটোপ্লাজম বলে। এর মধ্যে বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গাণু ভাসমান অবস্থায় থাকে। সজীব কোষের সাইটোপ্লাজম দুটি স্পষ্ট অবস্থা (চযধংব) নিয়ে গঠিত। যথা:
১) সাইটোসল (ঈুঃড়ংড়ষ),
২) কোষীয় অঙ্গাণু (ঈবষষ ঙৎমধহবষষবং)।
সাইটোসলকে ঘনত্ব অনুযায়ী দু‘ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. এক্টোপ্লাজম (ঊপঃড়ঢ়ষধংস)
২. এন্ডোপ্লাজম (ঊহফড়ঢ়ষধংস)
কোষীয় অঙ্গাণু (ঈবষষ ঙৎমধহবষষবং):
আবরণীবদ্ধ কোষীয় অঙ্গাণু এ ধরনের কোষীয় অঙ্গাণুগুলো সুনির্দিষ্ট আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে। যেমন- মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, গলগি বডি, লাইসোসোম, ভ্যাকুওল, পারঅক্সিসোম, ভেসিক্ল।
আবরণীবিহীন কোষীয় অঙ্গাণু এ ধরনের কোষীয় অঙ্গাণুগুলো কোন আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে না। যেমন- রাইবোসোম, প্রোটিয়োসোম, সেন্ট্রিওল, মাইক্রোফিলামেন্ট, ইন্টারমিডিয়েট ফিলামেন্ট, মাইক্রোটিউবিউলস।
রাইবোসোম এর অবস্থান গঠন ও কাজ :
রাইবোসোম : সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় বিরাজমান যে দানাদার কনায় প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে তাকে রাইবোসোম বলে।
প্রকার : আকার ও সেডিমেন্টেশন সহজ হিসাবে এটি দু’প্রকার। যথা ঃ ৭০ং এবং ৮০ং
গঠন : এর প্রধান উপাদান হচ্ছে জঘঅ ও প্রোটিন।
কাজ : প্রোটিন সংশ্লেষণ করা।
রাইবোসোম : সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় বিরাজমান অথবা অন্তঃপ্লাজমীয় জালিকার গায়ে অবস্থিত যে দানাদার কণায় প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে তাকে রাইবোসোম বলে। বিজ্ঞানী ক্লড (ঈষধঁফব) ১৯৪০ সালে এটি সর্বপ্রথম আবিষ্কৃার করেন। পরে চধষধফব (১৯৫৫) প্রাণীকোষে এর ইলেকট্রনিক আণুবীক্ষণিক গঠন পর্যবেক্ষণ করেন।