ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

বেনাপোল কাস্টমস

রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ৫ জুলাই ২০২৩

রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড

২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছে

বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়েছে। অর্থবছরটিতে মোট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা বেশি। এর আগের বছর ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা। আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি খ্যাত থেকে আয় হয়েছে ১০ হাজার ২২৬ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা। এ সময় বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ’ টন পণ্য। আর রপ্তানি হয়েছে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৮১ টন পণ্য। রপ্তানি আয়ও গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাস্টমস ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক মন্দা না থাকলে রাজস্ব আদায় ও রপ্তানি আয়ের পরিমাণ আরও বাড়ত। জানা গেছে, সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামের পরেই বেনাপোল স্থল বন্দরের অবস্থান। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য হয় তার ৮০ ভাগই সম্পন্ন হয় বেনাপোল স্থল বন্দরের মাধ্যমে। আমদানি ও রপ্তানি খ্যাত থেকে সরকারি কোষাগারে প্রতিবছর জমা পড়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা বেশি।

একই সময় ওই বছরে রপ্তানি খ্যাত থেকে আয় হয়েছে ১০ হাজার ২২৬ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা। রপ্তানি আয়ও গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৬৪০ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা বেশি বলে কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে। বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গেল বছর যে রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে তা আরও বৃদ্ধি পেত। যদি বৈশি^ক মন্দা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া মধ্যে যুদ্ধ না হতো। তবে অর্থ বছরটিতে রাজস্ব বৃদ্ধির অন্যতম কারণ স্বপ্নের পদ¥া ও মধুমতি সেতু নির্মাণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন তা বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য এক মাইলফলক। আগে বেনাপোল থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকাতে যেতে ২/৩ দিন সময় লাগত।

কিন্তু বর্তমানে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা মাত্র। বলা চলে কলকাতা থেকে বন্দরে কার্গো ট্রাকগুলো  পৌঁছানোর পর কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দিনে দিনে ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। তবে বেনাপোল-যশোর-ভাঙা মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নতি করা হলে ভারতের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য আরও বাড়বে। একই সঙ্গে বেনাপোল স্থল বন্দরে অবকাঠামো উন্নয়ন বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল বলেন, পদ্মা এবং মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। যার ফলে আমদানি বেড়ে রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

×