
সাংবাদিক মুন্নী সাহা, তার মা আপেল রানী সাহা, স্বামী কবির হোসেন তাপস, দুই ভাই তপন কুমার সাহা ও প্রণব কুমার সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাংবাদিক মুন্নী সাহা, পরিবারের সদস্যরা এবং তার স্বামী এস এম প্রমোশনসের মালিক কবির হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তারা বিদেশে চলে যেতে পারেন-অনুসন্ধানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, এতে অনুসন্ধান কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয় দুদকের আবেদনে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর কারওয়ান বাজারে নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে এক দল লোকের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন মুন্নী সাহা। পরে তাকে আটক করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা থাকার তথ্য দিয়ে তাকে নেওয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।
চার ঘণ্টা পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় মুন্নী সাহাকে। পুলিশ ‘স্বপ্রণোদিত` হয়ে তাকে গ্রেপ্তার না করায় এবং তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার প্রেক্ষিতে ‘আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে` ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা সে সময় জানিয়েছিলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মালিক।
গত বছরের ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে তার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে সাংবাদিক মুন্নী সাহা এবং তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক।
রিফাত