স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি ঠেকাতে একটি মহল সব সময় তৎপর। তাদের এই অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। জাতীয় খাতে রাজস্ব আয়ের সিংহভাগের যোগানদাতা চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা ছিনিয়ে নেয়ার এই পরিকল্পনাকে নস্যাত করে দিতে হবে।
সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সদর দফতর ঢাকায় স্থানান্তরের কারণে চট্টগ্রাম এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় চট্টগ্রামে উড়াল সড়ক, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি ঘুমধুম থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের যে প্রক্রিয়া চলছে, তা সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক বা ইন্টার কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি পাবে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম ও দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করবে। এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাথরঘাটা আনসার ক্লাব সংলগ্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) রাজস্ব সার্কেলের স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতিমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ ছগির আহমেদ, বিপনী বিতান ব্যবসায়ী ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ছগির, পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, আল মাদানী দাতব্য চিকিৎসালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ হাজেরা নাজনীন, কর-কর্মকর্তা (লাইসেন্স) জানে আলম, কর-কর্মকর্তা (কর) মেজবাহ উদ্দীন, উপ-কর কর্মকর্তা অতিকুর রহমান প্রমুখ।
চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরবাসী হলেন এই শহরের মালিক। নগরীকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য রাখতে নগরবাসীর দায়িত্ব রয়েছে। কর্পোরেশনের প্রধানতম আয়ের খাত পৌরকর। এই কর না দিলে কিভাবে নগরীর উন্নতি হবে? আমরা ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌর কর ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি নগরবাসী এই সুযোগ গ্রহণ করবেন। জানুয়ারি থেকে আর এই সুযোগ থাকবে না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: