ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাপে ধান বিক্রিতে যশোরে কৃষকের ব্যাপক সাড়া

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

এ্যাপে ধান বিক্রিতে যশোরে কৃষকের ব্যাপক সাড়া

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কৃষকদের কাছে বিষয়টি ছিল নতুন। কিন্তু এখন তারা বিষয়টি আয়ত্ত করে ফেলেছে। এ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে ন্যায্য দামে ধান বিক্রির জন্য ব্যাপক সাড়া দিয়েছে যশোর সদরের কৃষক। সরকারের নির্ধারিত সময়ে সাড়ে ৬ হাজার কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত অর্ধেক কৃষক চূড়ান্ত করবে কৃষি বিভাগ। চলতি আমন মৌসুমে এক হাজার ৪০ টাকা মণ হিসেবে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার। এ ধান সংগ্রহে যশোরসহ ১৬ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়। যশোর সদর উপজেলা থেকে এ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ হাজার ৮২৬ মেট্রিক টন। যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ লিয়াকত আলী জানান, যশোর সদরে কৃষকের কাছ থেকে এ্যাপের মাধ্যমেই সব ধান কেনা হবে। এজন্য নিবন্ধন শেষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকের আবেদন যাচাই-বাছাই ও কৃষকদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে। এরপর নির্ধারিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, প্রতি মণ এক হাজার ৪০ টাকা কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের জন্য সরকার এবার পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। আমন ধান সংগ্রহ করতে যশোর সদরে এ্যাপের মাধ্যমে ২৫ নবেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম করা হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষি বিভাগ আবেদন যাচাই-বাছাই করে অটোমেটিক পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কৃষক চূড়ান্ত করবে। খালিদ সাইফুল্লাহ আরও জানান, নির্ধারিত সময়ে যশোর সদরে সাড়ে ৬ হাজার কৃষক এ্যাপে নিবন্ধন করেছে। যে ইউনিয়নে যেমন ধান চাষ ও চাষী রয়েছে, সেখান থেকে সেই পরিমাণ ধান সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, ‘পদ্ধতিটি নতুন। তাই কৃষককে বিশ্বাস করানোটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমরা কৃষকপ্রতি এক মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের কথা ভাবছি। এতে ২ হাজার ৮২৬ চাষীর কাছ থেকে ধান নেয়া সম্ভব হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রদ্ধতিটি নতুন হওয়ায় তারা চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু যথেষ্ট সাড়া পড়েছে। এ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে চাষীদের আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগ বেশকিছু উদ্যোগ নেয়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দিন-রাত কৃষককে বুঝিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কৃষক প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। কৃষকদের কাছে গিয়ে জানানো হচ্ছে। ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রকৃত কৃষকরা যাতে নিবন্ধন করে আমন ধান সরবরাহ করতে পারেন সেজন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া হয়। যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, একেবারে নতুন এই পদ্ধতি সফল করতে তারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছেন। এজন্য কৃষকরা ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। আশা করছি প্রকৃত প্রান্তিক কৃষক ধান বিক্রি করতে পারবে।
×