অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০২০ সালের ব্যবসা সরলীকরণ সূচকে প্রায় ৫০ ধাপ এগোনোর প্রত্যাশা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। সংস্থাটি মনে করে, ২০১৯ সালে যেসব প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল, তার অধিকাংশেরই উন্নতি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে, হিতে বিপরীত হবে।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মতো। মহাসড়কের পাশাপাশি বিদ্যুত উৎপাদনে বাংলাদেশ ছুয়েছে মাইলফলক। তারপরও ২০১৯ সালের ব্যবসা সরলীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬তম। মূল কারণ ব্যবসা শুরুর খরচ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুরক্ষাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। এবার সেগুলোর অধিকাংশেরই উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা)।
বিডার প্রত্যাশা এবার সরলীকরণ সূচকে বাংলাদেশ প্রায় ৫০ ধাপ এগুবে। তাই আগামী কয়েক বছরে বিনিয়োগ বাড়বে বহুগুণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আগানোটা নির্ভর করছে বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের ওপর।
বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট মনে করেন, বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নয়নে সবচেয় বেশি প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। তা ধরে না রাখতে পারলে ঘটবে বড় ধরনের বিপর্যয়। বিনিয়োগ বাড়াতে কাগজে কলমে উন্নয়নের সঙ্গে বাস্তবের সমন্বয় ঘটানোরও পরামর্শ দেন তিনি।