অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রকৌশল খাতের স্বল্প মূলধনী কোম্পানি মুন্নু জুট স্টাফলার্স লিমিটেডের বিশেষ সাধারণ সভা ৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশে কোম্পানির মূলধন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কোম্পানিটি। এজন্য প্রথমে অনুমোদিত মূলধন ১ কোটি থেকে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করবে কোম্পানিটি। বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিয়ে কোম্পানিটির সংঘ স্মারকের ৫নং ধারা ও সংঘবিধির ৬নং ধারা সংশোধন করা হবে। এজন্য ৯ আগস্ট সকাল ১০টায় সাভারের ইসলামপুরের ধামরাইতে কোম্পানির কারখানা প্রাঙ্গণে ইজিএম আহ্বান করা হয়েছে। ইজিএমের রেকর্ড ডেট নির্ধারণ ছিল ১২ জুলাই।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৭ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে মুন্নু স্টাফলার্স। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৫২ টাকা ২৫ পয়সায়।
এদিকে হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০১৭-মার্চ, ২০১৮) ২ টাকা ৯৫ পয়সা ইপিএস দেখিয়েছে মুন্নু স্টাফলার্স। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৬০ পয়সা। ৩১ মার্চ এর এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪৮ টাকা ৩৯ পয়সায়।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সর্বশেষ দর ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বা ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮৫৮ টাকায়। দিনভর দর ৩ হাজার ৮২০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৯৯৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ৩ হাজার ৮৪৯ টাকা ৫০ পয়সা, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৩ হাজার ৮১৩ টাকা ৭০ পয়সা। এদিন ৪৮৪ বারে কোম্পানিটির মোট ৪ হাজার ৫৯৬টি শেয়ারের লেনদেন হয়।
গত এক বছরে মুন্নু জুট স্টাফলার্স শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ৫৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ দর ৪ হাজার ৪৬০ টাকা।
২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় মুন্নু স্টাফলার্স। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে মুন্নু স্টাফলার্সের ইপিএস হয় ৩ টাকা ২১ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরেও কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন।
১৯৮২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু জুট স্টাফলার্সের অনুমোদিত মূলধন ১ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৪৬ লাখ টাকা। রিজার্ভ ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের ৫৫ দশমিক ৯ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৭ হাজার ৬৯৯, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৬ হাজার ৭৫৩ পয়েন্ট ৫১।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: