অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আধুনিক এই সময়টাতে চালকহীন গাড়ি নির্মাণের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ফলে নতুন নতুন গাড়ি নির্মাণের চেয়ে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চালকহীন গাড়ি নির্মাণের দিকেই বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে। তবে সমস্ত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানেদের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউ ইলেক্ট্রিক গাড়ি ও হাইব্রিড গাড়ি তৈরির চেয়ে চালকহীন গাড়ি তৈরির দিকেই মনোনিবেশ করছে। একে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বলা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এসভিপি এলমার ফ্রিকেনস্টাইন। একে পঞ্চম স্তরে পৌঁছে দিতে চাইছেন তারা।
বর্তমানে যে গাড়িগুলো বাজারে প্রচলিত এগুলোর তুলনায় ৫ম স্তর হলো সবচেয়ে হালনাগাদ। স্বাভাবিকভাবে যে রকম ভাবা হয় চালকহীন গাড়িগুলো যে রকম হবে, প্রচলিত গাড়িগুলো এখনও সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ৫ম স্তরের গাড়ি মানে বোঝায় কোন প্রকার চালক ছাড়াই নিজে নিজে চলার পাশাপাশি নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।
ফ্রিকেনস্টাইন রয়টার্সকে বলেন ‘আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ৫ম স্তরের চালকহীন গাড়ি নিয়ে বাজারে আসতে পারব বলে আশা করছি। তাছাড়া যেখানে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ২য় এবং ৩য় স্তরের রয়েছে অন্তত সেখানে ন্যূনতম ৪ স্তরের গাড়ি নিয়ে বাজারে আসতে চাইছি।’
সম্প্রতি চিপসেট নির্মাতা জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ইনটেল ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ইসরাইলি গাড়ি প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান মোবিলিয়িকে অধিগ্রহণ করার ফলে এ খাতে আগ্রহ বেশ প্রকট বলেই বোঝা যাচ্ছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
মংলায় খালাসের অপেক্ষায় ৪ হাজার রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মংলা। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বন্দরটি। এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানির তালিকায় কোটি টাকা মূল্যের রিকন্ডিশন্ড গাড়িও রয়েছে। বর্তমানে মংলায় ৪ হাজার ৭২৮টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খালাসের অপেক্ষায় আছে। গাড়িগুলো থেকে সম্ভাব্য রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
কাস্টমস শুল্ক আইন অনুযায়ী, আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ৪৫ দিনের মধ্যে ছাড়িয়ে নেয়া না হলেÑ সেগুলো নিলামে তোলা হয়। কিন্তু মংলা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত গাড়ির সিংহভাগই এখনও জেটির ইয়ার্ডে পড়ে আছে।