ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে বিও হিসাবের সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৮ মার্চ ২০১৬

পুঁজিবাজারে বিও হিসাবের সংখ্যা বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আবারও পুঁজিবাজারমুখী হতে শুরু করেছে সাধারণ জনগণ। সম্প্রতি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) এ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়ার প্রবণতা দেখে তা অনুমান করা যায়। সম্প্রতি প্রতিদিনই হাউসগুলোতে নতুন নতুন বিও খোলা হচ্ছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে নতুন বিও খোলা হয়েছে তিন হাজারের বেশি। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১৫ দিনে নতুন বিও খোলা হয়েছে তিন হাজার দুটি। গত ১৫ দিন আগে বিও সংখ্যা ছিল ৩২ লাখ ১ হাজার ২৬। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৪ হাজার ৩২৮টি। এই সময়ের মধ্যে নারী এবং কোম্পানির এ্যাকাউন্টও বৃদ্ধি পেয়েছে। জানতে চাইলে হাউস কর্মকর্তারা বলেন, পুঁজিবাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল, যে কারণে বিও খোলার প্রবণতা বাড়ছে। এর একটা উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, মানি মার্কেটের নাজুক অবস্থা। সে কারণে মানি মার্কেট ছেড়ে সবাই পুঁজিবাজারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার সিকিউরিটিজের সিইও মোঃ আজম বলেন, এখন মানি মার্কেটের অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যাংকে আমানতে সুদের হার অনেক কম। সে কারণে জনগণ মানি মার্কেট ছেড়ে পুঁজিবাজারে আসছে। সেই বাজারেও শুভ লক্ষণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারমুখী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। একই প্রসঙ্গে সিনথিয়া সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আগের চেয়ে আমাদের হাউসে এখন নতুন বিও খোলার প্রবণতা বাড়ছে। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে পুঁজিবাজারে নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এসব কোম্পানির আইপিওতে আবেদন করার জন্য ওপেন হচ্ছে নতুন এ্যাকাউন্ট। তাছাড়া সেকেন্ডারি মার্কেটের অবস্থাও এখন খারাপ নয়। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে একটি অনুকূল পরিবেশ চলছে, যার প্রভাব পড়ছে বিও এ্যাকাউন্টসহ সকল ক্ষেত্রে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোর আমানতের বিপরীতে সুদের হার কমেছে, যার কারণে সেখান থেকে রিটার্ন কমে যাচ্ছে। আর পুঁজিবাজারও আগের তুলনায় স্থিতিশীল আচরণ করছে। এর ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও বাড়তে শুরু করেছে। আগামীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে বাজারে আরও নতুন বিনিয়োগকারী আসবে বলে তিনি মনে করেন।
×