অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারের চলমান পতন ঠেকাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ মূলধন ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বাড়াতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ ২০টি প্রতিষ্ঠান।
গত ৪ নবেম্বর এ ২০ প্রতিষ্ঠান বিএসইসি, ডিএসই এবং সিএসইর কাছে চিঠি দেয়। এই ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ লঙ্কা-বাংলা সিকিউরিটিজ, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ এ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, এনবিএল সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ইউসিবিএল সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ এবং পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ।
ব্যাংক কোম্পানি এ্যাক্ট-২০১৩-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্যাপিটাল ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্যাপিটাল ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হলে ব্যাংকগুলোকে ৬-৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করতে হবে, যা বাজারের বর্তমান মন্দা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে। আর এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এবং পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই এ মন্দাবস্থা থেকে বেরোতে হলে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটের সময়সীমা২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়াতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এক্সপোজার লিমিটের সময়সীমা বাড়ানো না হলে আগামী কয়েক মাসে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাবে। আর সময়সীমা ২০২০ পর্যন্ত বাড়ানো হলে এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকের মূলধন বাড়ার পাশাপাশি বিনিয়োগসীমাও সমন্বয় করা সম্ভব হবে। আর এ সিদ্ধান্ত বাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর পুঁজিবাজারে ধস নামলে সেখানকার সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধস ঠেকাতে বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমানে আমাদের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ধস চলছে। আর এ ধস ঠেকাতে আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাদেরও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী।