অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ‘সেরা গবর্নরের’ পুরস্কার পাওয়ায়র পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, এ পুরস্কার তার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভা চলার মধ্যেই শনিবার সন্ধ্যায় পেরুর রাজধানী লিমার শেরাটন হোটেলে লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্য সাময়িকী ইমার্জিং মার্কেটসের পক্ষ থেকে পাঁচ দেশের অর্থমন্ত্রী এবং আরও চারজন গবর্নরের সঙ্গে আতিউর রহমানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
ইমার্জিং মার্কেটস এশিয়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক টবি ফিল্ডসের হাত থেকে পুরস্কার নেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর বলেন, এই পুরস্কার আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। আমরা বিশ্ব মন্দা প্রতিরোধ করেছি উৎপাদনশীল খাতে অর্থায়ন করে, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থয়ান করে। আমরা টাকা আকাশে উড়াইনি। মাটিতে ফেলেছি উৎপাদনের জন্য। নতুন ধারার কেন্দ্রীয় ব্যাংকিংয়ের সুফল এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে মন্তব্য করে আতিউর বলেন, আমাদের ম্যাক্রো অর্থনীতি স্থিতিশীল, মূল্যস্ফীতি সহনীয়, সুদের হার কমছে, টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল। মাটির কাছে ব্যাংক যাচ্ছে।
এ পুরস্কার বাংলাদেশের জনগণ, উদ্যোক্তা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেন গবর্নর। আর্থিক খাতে বিশেষ অবদানের জন্য আতিউর রহমানকে ২০১৫ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সেরা গর্বনর নির্বাচিত করেছে ইমার্জিং মার্কেটস। বিশ্ব মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশে ‘স্থিতিশীল অর্থনীতি’ বজায় রাখা, ব্যাংকিং উন্মুক্ত করা, পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং এবং সিএসআর (সামজিক দায়বদ্ধতা) কার্যক্রম উৎসাহিত করতে ভূমিকা রাখায় এই স্বীকৃতি।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে মেক্সিকোর অগাস্টিন কারস্টেন্স, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ থেকে রাশিয়ার এলভিরা নাবিয়ুলিনা, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অঞ্চলে মিসরের হিসাম রমিজ আব্দেল হাফেজ এবং সাব-সাহারা অঞ্চলে রুয়ান্ডার জন রুয়ানগোমবুয়া এবার এ পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা অর্থমন্ত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের অরুণ জেটলি, পেরুর আলনসো সেগুরা ভাসি, হাঙ্গেরির মিহালি ভারগা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামদান বিন রশিদ আল মাকতুম ও ইথিওপিয়ার সুফিয়ান আহমেদ।
এর আগে গত জানুয়ারিতে লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা ফিনানশিয়াল টাইমসের ব্যাংক ও অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে আতিউর রহমানকে ২০১৫ সালের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করে। ২০০৯ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গবর্নর হিসেবে চার বছরের জন্য দায়িত্ব নেন আতিউর। এরপর তাকে আরও এক মেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বে রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। ২০১৬ সালের ২ আগস্ট তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: