ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

অর্থনীতিতে ওমিক্রনের প্রভাব ও করণীয়

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২১ জানুয়ারি ২০২২

অর্থনীতিতে ওমিক্রনের প্রভাব ও করণীয়

করোনাভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। নতুন আতঙ্ক হিসেবে হাজির হয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। ইতোমধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা ও ভারতে ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২২ সাল সম্পর্কে মানুষ খুবই বিস্ময়করভাবে ইতিবাচক। করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী কেবল যে মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্কট সৃষ্টি করেছে তাই নয়, অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের দুর্যোগ বয়ে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ঠিক যখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হলো, তখন করোনার আঘাত এসে লাগল অন্যান্য জায়গার মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি যতটা বিপর্যস্ত হবার কথা ছিল, বাহ্যত ততটা হয়নি। দেশের অর্থনীতির আকার পরিমাপে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দুটি পদ্ধতি রয়েছে। চলতি মূল্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির আকার ছাড়িয়েছে ৪১০ বিলিয়ন ডলার। আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) দেশের অর্থনীতির আকার প্রথমবারের মতো চলতি মাসে হাজার বিলিয়ন ডলার বা ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়েছে বলে প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২০২১ সালে রেকর্ড ২ হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর আগে কোন বছর এত বেশি প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালে অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮.২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে গত অর্থবছরের ২০১৯-২০২০ সালে জিডিপি বৃদ্ধি ৫.১৪ শতাংশ অর্জন করেছে। যদিও বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের অনুমানের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, তবে সামগ্রিকভাবে তা খুব বড় কিছু নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশ রেমিটেন্স প্রবাহ পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখিয়েছে, তবে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের প্রবাসী কর্মীদের কাছ থেকে রেমিটেন্স কমার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। কেননা, বিদেশে অর্থনৈতিক সঙ্কোচন এবং নতুন নতুন অভিবাসন নীতি বাংলাদেশের প্রবাসীদের কিছুটা কোণঠাসা করতে পারে, যার ফলে কমে যেতে পারে রেমিটেন্স প্রবাহ। যদিও এখন পর্যন্ত রেমিটেন্স প্রবাহ তেমন কমেনি। এতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালে মূল্যস্ফীতির হার আরও ৫.৯ শতাংশ উন্নীত হতে পারে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬.৮ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার হবে ৫.৫ শতাংশ। গত বছরের মার্চ থেকে আঘাত হানা করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- থমকে যায়, ল-ভ- হয়ে যায় আমাদের অনেক অর্জন। এ বছর আবারও জানুয়ারির শুরু থেকে করোনা প্রচ-ভাবে আঘাত হেনেছে আমাদের দেশে। অর্থনীতি যখন ঘুরতে শুরু করেছে, তখন করোনার তৃতীয় ঢেউ শঙ্কা জাগাচ্ছে। প্রথম ধাক্কা সামলে নেয়ার আগেই দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ে বড় রকমের দুর্যোগ হয়েছিল। করোনার ধাক্কার রেশ এখনও চলমান। ফলে দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় মাত্রায় অভিঘাত আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছর নির্ধারণ করেছে, তা অর্জন করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিপিআরসি ব্র্যাকের সম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়েছে, কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে এই নতুন দরিদ্র শ্রেণীর সংখ্যা জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত যা ছিল ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। করোনার এই আঘাত ছাড়াও আমাদের দেশে অনেক দিন ধরেই ক্রমান্বয়ে আয় বৈষম্য বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আয়বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাবে। করোনা মহামারীর প্রকোপ যদি না কমে, তাহলে কর্মসংস্থান তৈরি করা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে। গতবারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দেশে খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রেণীর মানুষই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় শক্তি প্রবাসী আয়। করোনার প্রথম ধাক্কায় প্রবাসী আয় না কমলেও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে শ্রমিক যাওয়া ব্যাপক কমেছে। ফলে মাসওয়ারি ভিত্তিতে প্রবাসী আয় কমতে শুরু করেছে। তৃতীয় ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও বেগতিক হতে পারে। রিফিউজি এ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০ সালের নবেম্বর মাস পর্যন্ত আগের বছরের তুলনায় প্রবাসে শ্রমিক যাওয়া কমেছে ৭১ শতাংশ। এর প্রভাবও পড়েছে প্রবাসী আয়ে। গত সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আগের মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় কমেছে। করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে, এসব খাতেই দেশের ৩৫ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়। করোনার তৃতীয় ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা এই খাতে। প্রথম ধাক্কায় অনেকেই লোকসানে পড়েছেন। করোনায় থমকে যাওয়া অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংক খাতে। গত বছরের প্রথমার্ধ এবং ষান্মাসিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফায় মারাত্মক ধস নামে। বছর শেষে ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায়ও বড় ধাক্কা লাগে। এ সময়ে বেশির ভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কমে যায়। বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা যায়, প্রায় ১৬টি বেসরকারী ব্যাংকের মুনাফা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল। অল্প কয়েকটি ব্যাংক মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। এ বছর প্রথম ব্যাংক খাতে চাঞ্চল্য ফিরে আসছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কায় ব্যাংকগুলোর ক্ষতি কোথায় নিয়ে যায় তা নিয়ে ব্যাংকারদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। করোনা দীর্ঘায়িত হওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও অনেকটা ভাল। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি মধ্যবিত্তরা করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে। জিডিপি প্রবৃদ্ধিও এগোচ্ছে না। নতুন অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। পরে অবশ্য সংশোধিত আকারে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। নতুন অর্থবছরের বাজেটে করোনা মহামারীর অবস্থা বিবেচনায় এনেই জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি যখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই এসেছে করোনার ধাক্কা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা বিগত দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। করোনার ধাক্কায় গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি একেবারে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাথা পিছু আয় ছিল ৭৫৯ মার্কিন ডলার, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৪ ডলারে। এখন আবার কিছুটা কমতে শুরু করেছে। মূল্যস্ফীতি ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। তা কমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছিল। করোনার কারণে আবার বাড়তে শুরু করে, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে বেড়ে যায়। সরকারী ভাষ্য অনুযায়ী, সময়ের সঙ্গে মোট রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেলেও জিডিপির তুলনায় বৃদ্ধির হার কম। ২০১৯-২০ পূর্ববর্তী দশ বছরে মোট রাজস্ব আয় প্রায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দাঁড়ায় ২ লাখ ৫১ কোটি ৮৮৪ টাকায় (জিডিপির ৯ দশমিক ৯ শতাংশ)। অথচ ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা (জিডিপির ১২ দশমিক ৪ শতাংশ)। করোনার কারণে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমে আসতে শুরু করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দশ মাসে আদায় হয় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অপরদিকে বেড়ে গেছে সরকারী ব্যয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যেখানে সরকারী ব্যয় ছিল মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। অর্থ-মন্ত্রণালয়ের সাময়িক হিসাবে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। অপরদিকে বাজেট ঘাটতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যেখানে মাত্র ৪ দশমিক ১ শতাংশ ছিল, করোনার কারণে তা এক ধাক্কায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। তবে সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের সরকারী হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন ঘাটতি আরও বাড়বে। রফতানি আয় প্রবৃদ্ধি ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ১১ দশমিক, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাইনাস ১৬ দশমিক ৯ শতাংশে (লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে) কমে আসে। তবে আশার কথা হলো যে, করোনার মধ্যে যখন গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল তখন বাংলাদেশ জনশক্তি রফতানিতে ভাল করছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সাময়িক হিসেবে এ খাতে আয় দেখানো হয়েছে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেশি। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বর্তমানে ৪৫ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক অর্থনীতির বেহাল অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশের রফতানি খাত এখনও ইতিবাচক অবস্থায় চলছে। ২০২০ সালে মে মাসের তুলনায় ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত রফতানি আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে তৈরি পোশাক ভাল করছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের ১১ মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে আয় হয়েছে ২৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ১ শতাংশ। ওভেন পণ্য রফতানি থেকে একই সময়ে আয় হয় ১৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাত রফতানিতেও ভাল করছে। ভাল করছে রেমিটেন্স। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ১০৪২ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ ভাগ বেশি? এই গতি ধরে রাখা এখন কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য? এ বছর রেমিটেন্স হতে লক্ষ্যমাত্রা ২৫ বিলিয়ন ডলার। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিঃসন্দেহে বাধাগ্রস্ত করবে। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আবারও বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তাঁর থেমে না থাকার প্রতিশ্রুতি-ব্রত দেশবাসীকে নবতর চেতনায় উজ্জীবিত করেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ সেই স্বপ্নকে ব্যাহত করবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রায় করোনাকালীন সময়েরও ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বর্তমান সরকার প্রেক্ষিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ধরে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে যার সুফল জনগণ প্রতিনিয়ত পাচ্ছে। সবুজ-শ্যামল উর্বর এ দেশে নতুন নতুন বিনিয়োগ দেশের প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি নানা সূচকে উন্নয়ন সাধিত করবে। মানুষের জীবনযাত্রার মানের আমূল পরিবর্তন ঘটার পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে বিপুল কর্মসংস্থানের। করোনা যেন এই যাত্রায় আঘাত হানতে না পারে সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে। লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
×