ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আলী যাকেরকে হারানোর এক বছর

প্রকাশিত: ০০:০১, ২৮ নভেম্বর ২০২১

আলী যাকেরকে হারানোর এক বছর

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বরেণ্য অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক আলী যাকের। কারো কাছে তিনি ছিলেন বাতিঘর, কারো কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। সবকিছু ছাপিয়ে তিনি ছিলেন একজন সহজ মানুষ, সফল ব্যক্তিত্ব। শনিবার এই অভিনেতা, নির্দেশককে হারানোর এক বছর পূর্ণ হলো। গেল বছরের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন, মৃত্যুর দুদিন আগে করোনাতে আক্রান্ত হন তিনি। ১৯৪৪ সালের ৬ নবেম্বর চট্টগ্রামের রতনপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আলী যাকের। তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে সমান জনপ্রিয়। ‘বহুব্রীহি’, ‘আজ রবিবার’সহ বহু নাটকে তার অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে। মঞ্চেও আলী যাকের এক জাদরেল অভিনেতার নাম। একই সঙ্গে দেশীয় বিজ্ঞাপন শিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কর্ণধার ছিলেন তিনি। তার সহধর্মিণী সারা যাকেরও একজন অভিনেত্রী। তাদের ছেলে ইরেশ যাকের অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে সমাদৃত। মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া একজন আরজে হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি অভিনয়ও করেছেন কিছু নাটকে। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার আলী যাকেরকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন। প্রয়াত এই কিংবদন্তির ৭৭তম জন্মদিনে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে ‘আলী যাকের গ্র্যান্ট’। উন্মুক্ত করা হয় ‘বাতিঘর’।
×