ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাসানুজ্জামানের সেঞ্চুরিতেও হারল পারটেক্স

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ২১ জুন ২০২১

হাসানুজ্জামানের সেঞ্চুরিতেও হারল পারটেক্স

অনলাইন ডেস্ক ॥ রাকিন আহমেদ ও মোহাইমিনুল খানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ল ওল্ড ডিওইচএস। হাসানুজ্জমানের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সেই রান ছুঁয়ে ফেলার আশা জাগাল পারটেক্স। শেষ পর্যন্ত পারেনি অবনমন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া দলটি। জয় দিয়ে রেলিগেশন লিগ শুরু করেছে ওল্ড ডিওএইচএস। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে সোমবার ২৩ রানে জিতেছে দলটি। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ২ উইকেটে ১৯৯ রান করে ওল্ড ডিওএইচএস। চলতি আসরে এটাই সর্বোচ্চ রান। মোহামেডানের বিপক্ষে আবাহনীর ৭ উইকেটে ১৯৩ রান ছিল আগের সেরা। হাসানুজ্জামানের খুনে ইনিংসের পরও পারটেক্স ৮ উইকেটে থামে ১৭৬ রানে। ৫২ বলে ৭ ছক্কা ও ১১ চারে ১০৫ রান করার পথে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন পারটেক্সের এই ওপেনার। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। গত বছর মিনিস্টার রাজশাহীর বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন। ৫৮ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রাকিন। টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সেরা ছিল ৪৬। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আনিসুল ইসলাম ও রাকিনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ওল্ড ডিওএইচএস। ৭ চারে ২৩ বলে ৩৪ রান করা আনিসুলকে ফিরিয়ে ৬০ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন। রান আউট হয়ে দ্রুত বিদায় নেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি ওল্ড ডিওইচএস। রাকিন ও মোহাইমিনুলের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলকে নিয়ে যায় দুইশ রানের দুয়ারে। দুই জনে ১২ ওভারে তোলেন ১৩১ রান। টি-টোয়েন্টিতে আগের নয় ইনিংসে সব মিলিয়ে ৬৪ রান করা মোহাইমিনুল অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। ওল্ড ডিওএইচএস অধিনায়কের ৩৫ বলের ইনিংসটি গড়া চারটি চার ও দুই ছক্কায়। এমনিতে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত হলেও এই ম্যাচে দেখা গেছে রাকিনের অন্য রূপ। শট খেলেছেন উইকেটের চারপাশে। এক সময়ে জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির আশা। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন ৯২ রানে অপরাজিত থেকে। বড় রান তাড়ায় পারটেক্সের শুরুটা হয় বাজে। মেডেনের সঙ্গে জোড়া উইকেট নেন আব্দুর রশিদ। ইনিংসের প্রথম বলে কট বিহাইন্ড হন সায়েম আলম। চতুর্থ বলে একইভাবে ফিরেন জনি তালুকদার। দলের বাজে শুরু কোনো প্রভাব ফেলেনি হাসানুজ্জামানের ব্যাটে। দারুণ সব শটে দ্রুত এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। আব্বাস মুসা আলভির কাছ থেকে মিলে সহায়তা। পারটেক্স পায় শতরানের জুটি। ২৯ বলে ৩১ রান করা আলভিকে ফিরিয়ে ১০২ রানের জুটি ভাঙেন রকিবুল হাসান। আগের সেরা ৪৪ ছাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাসানুজ্জামান। এক পর্যায়ে তার রান ৩৯ বলে ৮৯। সুযোগ ছিল পারভেজের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার। কিন্তু পরের ১১ রান করতে পারটেক্সের ওপেনার খেলেন নয় বল। সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি হাসানুজ্জামান। রশিদের বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ১০৫ রানের চমৎকার ইনিংস। এরপর বেশিদূর এগোয়নি পারটেক্সের ইনিংস। ওল্ড ডিওএইচএসের পেসার রশিদ ৩৪ রানে নেন ৩ উইকেট। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ২৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন আসাদুজ্জামান পায়েল। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএসের পয়েন্ট হলো ৮। সমান ম্যাচে পারটেক্সের পয়েন্ট ১। রেলিগেশন লিগের আরেক দল লেজেন্ডেস অব রূপগঞ্জের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ৭। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওল্ড ডিওএইচএস: ২০ ওভারে ১৯৯/২ (আনিসুল ৩৪, রাকিন ৯২*, মাহমুদুল ৫, মোহাইমিনুল ৫০*; শাহাদাত ৩-০-৩৪-০, মেহরাব ৪-০-৫০-০, শাহবাজ ৪-০-২৯-০, জুবায়েন ৪-০-৩২-১, মইন ৩-০-২৫-০, নাজমুল মিলন ২-০-২৪-০) পারটেক্স: ২০ ওভারে ১৭৬/৮ (সায়েম ০, হাসানুজ্জমান ১০৫, জনি ০, আলভি ৩১, মইন ৩, নাজমুল মিলন ১২, জয়রাজ ১৬*, মেহরাব ১, শাহবাজ ০, শাহাদাত ৫*; রশিদ ৪-১-৩৪-৩, রকিবুল ৪-০-৪৩-২, আলিস ৪-০-৩৮-০, পায়েল ৪-০-২৪-২, শান্ত ১-০-১০-০, আনিসুল ৩-০-২৭-০) ফল: ওল্ড ডিওইচএস ২৩ রানে জয়ী ম্যান অব দা ম্যাচ: রাকিন আহমেদ
×