ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গল্প ॥ মধ্যাহ্নভোজ

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২১ মে ২০২১

গল্প ॥ মধ্যাহ্নভোজ

তখন রাত দশটা, মাঘের হিমশীতল ঠা-ায় শরীর বেঁকে আসছে। এমন ঠা-া বাপের জন্মেও অনুভব করিনি আমি। ঠা-ার চোটে হাড়সুদ্ধ কাঁপছে, কাঁপছে সমস্ত প্রাণিকূলও। বুনো কুকুর আর শেয়ালের হাঁকডাক থেমে গেছে, তেমন একটা শোনা যায় না এখন। অথচ গ্রীষ্মে সাঁঝের আঁধার ঘনিয়ে এলেই শেয়াল কুকুরের হাঁকডাক শোনা যেত; এখন হাঁকডাক কমে গেছে। ঠা-ায় বন জঙ্গলের ভেতর গুটিসুটি মেরে আছে, খাদ্যের সন্ধান ব্যতীত বিনা প্রয়োজনে বের হয়নি ওরা। রাত বাড়তেই টুপটাপ শিশির পড়ছে টিনের চাল গড়িয়ে। নিমশাখ থেকে ভেসে আসছে নিঃসঙ্গচর পাখি পেঁচার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর ‘কুপ...কুপ...কুপ...’। গা ছমছম করা সেই কণ্ঠের উৎস খুঁজতে বাংলোর দরজার কপাট খুলে সন্তর্পণে বের হলাম। বাইরে আরও ঠা-া, ঠা-ার চোটে গায়ের চাদর মুহূর্তেই হিমশীতল হয়ে এলো। এত বছর বনপ্রান্তরে কাটিয়েছি অথচ এবারের মতো ভয়ানক ঠা-া আর কখনও অনুভূত হয়নি। বারান্দায় দাঁড়াতেই জ্যোৎস্নাজ্যোতিতে পা ভিজে গেল; বারান্দায় জ্যোৎস্নার জোয়ার বইছে, ঢেউ খেলছে ছলাৎ ছলাৎ। সেই রুপালি ঢেউয়ে পায়ের পাতা চুবিয়ে নিম গাছের কাছাকাছি চলে এলাম। নিম গাছটা বাংলোর দক্ষিণ লাগোয়া। দেখলাম জ্যো¯œার চাদর মুড়িয়ে দিয়েছে সমস্ত বৃক্ষটাকে; রূপ নিয়েছে এখন ধবল গিরির; কাঞ্চনজঙ্ঘা বললেও ভুল হবে না। চেনা সেই নিম গাছটাকে রহস্যময়ী করে তুলছে জ্যো¯œাজ্যোতি। বারান্দার দক্ষিণপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পেঁচার উৎসস্থল খোঁজার চেষ্টা করছি; কিন্তু নজরে পড়ছে না। অথচ পেঁচাটা দেখা খুবই প্রয়োজন আমার; দেখলে পেঁচাভীতি কেটে যেত। কৈশোরে অনেক মিথ শুনেছি পেঁচা নিয়ে, কিন্তু সরাসরি দেখিনি। অন্যান্য পাখি দেখা হলেও পেঁচা না দেখার একটা কারণও আছে। সেটা হচ্ছে পেঁচা নিশাচর পাখি, ইচ্ছে করলেই দিনে দুপুরে খুঁজে পাওয়া যায় না, বনবাদাড়ে গাছের খোঁড়লে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে। কৈশরে শুনতাম পেঁচার ডাকে নাকি মানুষের অমঙ্গল ঘটে, আরও কত কিছু। বিশেষ করে শুনতাম পেঁচার ডাকে নাকি প্রাণহাণিও ঘটে! ফলে ভয়ে পেঁচার সাক্ষাৎ পাওয়া থেকে দূরে থাকতাম। এখন ভয় কেটে গেছে অনেকটাই, বিষয়টি যে কুসংস্কার সেটাও বুঝতে পেরেছি। তাই সরাসরি পাখিটিকে দেখতে ইচ্ছে করছে আমার। সেই ইচ্ছেটা জাগ্রত করে দিয়েছেন মূলত একজন বন্যপ্রাণী গবেষক। গতকাল এ প্রজাতির পাখি সম্পর্কে কিছু তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি। যার কারণ পেঁচা দেখার আগ্রহটা বেড়েছে আমার। প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা থেকে কিছু তরুণ-তরুণী এসেছে পরিযায়ী পাখি নিয়ে গবেষণা করতে। তারা ক্যাম্প করেছে দ্বীপ বনের অদূরে; নদী সংলগ্ন চরে। সেই গবেষক দলের প্রধান হচ্ছেন, এমরান হোসাইন দেওয়ান; আমার পরিচিত মানুষ। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী নিয়েও কাজ করেন। সে সুবাদে প্রতি বছর ক্যাম্পিং করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। নিঝুম দ্বীপে ক্যাম্পিং করলে দ্বীপ বনের বাংলোতে এসে আমার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পাখ-পাখালি সম্পর্কে নানান তথ্য জানান। আমার আগ্রহ থাকায় তিনি আমাকে প্রতি বছরই নিমন্ত্রণ করেন তাদের ক্যাম্পে রাত কাটাতে। আমি চেষ্টা করি তার নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। আবার আমিও আমাদের ভেষজ প্ল্যান্টে এনে অতিথিসেবা করি, বন-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াই সবাই মিলে। সে এক মহাআনন্দ! দুপুরে গবেষকদের ক্যাম্পে আমাদের নিমন্ত্রণ। আমরা চারজন নিমন্ত্রণ রক্ষায় রওয়ানা দিয়েছি। সঙ্গে আছে প্ল্যান্টের দু’জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রহরী মহব্বত দয়াল আর আমি। জঙ্গলে আমি যখনই বের হই মহব্বত দয়ালকে সঙ্গে নিতে হয়। কোম্পানির নির্দেশ রয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে তাহলে ক্যাম্পে কেন নিয়ে এলাম? আসলে এই প্ল্যান্টে একমাত্র ব্যক্তি সে, যে কি না প্রকৃতিকে অনুধাবন করতে পারে। যার ফলে তার সঙ্গে আমার একটা বন্ধন তৈরি হয়েছে। তাছাড়াও তার সঙ্গে আমার বয়সের পার্থক্য খুব বেশি নয়; বড়জোর ৪-৫ বছরের। প্ল্যান্টের স্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে বয়সের দিকে আমরা দু’জনই সিনিয়র। প্রায় সমবয়সী বিধায় সখ্য একটু বেশিই। বিশেষ করে পদ-পদবির বিষয়ে কখনো ভাবিনি আমি। আর অফিসের বাইরে পদ-পদবির হিসেবও করি না। তাছাড়াও আমি বিশ্বাসী নই মানুষের মাঝে মানুষের শ্রেণিবিভেদে। মানুষের জন্ম মৃত্যুর পোশাকেই যদি কোনো তারতম্য না থাকে, সেখানে তারতম্য ঘটানোর অধিকারই বা আমাকে কে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে যখন ভাবি, তখন আর মানুষের মাঝে ভেদাভেদ খুঁজে পাই না আমি। সেই ভেদাভেদ ভুলেই আমি মহব্বত দয়ালকে নিয়ে নিমন্ত্রণে রওয়ানা দিয়েছি। আমরা ক্যাম্পে রওয়ানা দিয়েছি ট্রলারে চড়ে, জোয়ার ভাটার সময়সূচী মেনে, নচেৎ কাদাজলে মাখামাখি হতে হবে। এই জন্য আমরা ভরা কাটাল ও মরা কাটাল মেনে চলি। নদী অঞ্চলের লোকজনকে এসব মেনে চলতে হয়। এখন নদী-নালায় জোয়ার বইছে, আশা করি ভাটার আগেই ফিরে আসব। আজ ধীরে-সুস্থে এলেও তেমন সমস্যা হবে না। কারণ তিথি অনুসারে দেখলাম আজ ভরা কাটাল। ভরা কাটালে জল উপচে পড়ে; মরা কাটালে জল কম প্রবাহিত হয়। জোয়ার-ভাটা শুধু নদীকেন্দ্রিক নয়, মানুষের মধ্যেও এর প্রভাব পড়ে। যেমন জোয়ারে ধন ভেসে আসে, আবার ভাটায় ভান্ডার হয় খটখটে মরুভূমির মতো। যেই রহস্য অনুধাবন করা বড়ই কঠিন; আবার সহজও হয়, যদি ভাবুকের অন্তর্দৃষ্টি খোলা থাকে। আমরা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার সময় সঙ্গে নিলাম ৫ টা বড়সড়ো ইলিশ মাছ, আর প্ল্যান্টে উৎপাদিত পাকা কলা, পাকা পেঁপে। বনবাদাড়ে বাস করে আর অন্যকিছু নেওয়ার সুযোগ নেই আমাদের। সুযোগ থাকলে আরও অনেক কিছু নিয়ে যেতাম হয়তো বা। কারণ নিমন্ত্রণ রক্ষায় খালি হাতে যেতে নেই; দেশের প্রচলিত রেওয়াজ। বনবাদাড়ে বাস করলেও সেই রেওয়াজ ভুলে যাইনি আমরা। নদীর জোয়ারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমি নৌকার কিনারে বসে থাকলেও আমার দুচোখ নদীর পারে; খুব উপভোগ করছি সবুজের সমাহার। নদীর পারে হরেক গাছ-গাছালি, তার মধ্যে বেশির ভাগই কেওড়া গাছ। বেশ কিছু গাছ নদীর ওপর কাত হয়ে পড়ে আছে। গাছের শিকড়গুলোতে মাটি নেই, জোয়ারের জলে ধুয়ে ফর্সা করে ফেলেছে। তার পরেও বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা, শেষ আকুতি করছে গাছগুলো। জন্মদাত্রী মৃত্তিকা মাকে আঁকড়ে ধরেছে। আর মৃত্তিকা মা আপ্রাণ চেষ্টা করছে সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে, যেমনি চেষ্টা করছেন জগতের সমস্ত মায়েরা। নয়াজলের ঘ্রাণে তন্ময় হয়ে ট্রলারযোগে চলছি নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে। মধ্যাহ্নভোজের পর প্ল্যান্টে ফিরে আসব, সেই পরিকল্পনাই করছি মনে মনে। রাতযাপন সম্ভব নয়, থাকতে পারলে মন্দ হতো না। রাতে আনন্দ হয়, গানবাজনা করে তরুণ-তরুণীরা। সেই আনন্দে অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই আমাদের। আমরা ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ক্যাম্পে পৌঁছলাম। দলনেতা আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন। আমাদের আগমনে ভদ্রলোক খুব খুশি হলেন, আমাকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। অতিথি সেবায় তিনি কোন গাফিলতি করেননি। আমাদের নেওয়া ইলিশ মাছ, ফল-ফলাদি সাদরে গ্রহণ করলেন। তারপর তাঁবুর ভেতরে নিয়ে আমাদের যতœসহকারে বসালেন। তিনি গল্পবাজ মানুষ, ভেতরে বসতেই নানান গল্প ফাঁদলেন। তরুণ-তরুণীদের কর্মকা- দেখালেন, আমি উদ্বুদ্ধ হলাম সবকিছু দেখে। কোন ধরনের স্বার্থ নিয়ে এরা কাজ করছে না। অনেকটা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো। আসলে এরাই হচ্ছে দেশের সূর্য সন্তান, দেশের সম্পদ। পাখ-পাখালি রক্ষায় নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনা শেষে দুপুরের খাবার খেতে বসলাম। তরুণ-তরুণীরা মিলে রান্নাবান্না করেছে। তারাই এখন আমাদের পরিবেশন করে খাওয়াচ্ছে। অনেক কিছুই রেঁধেছে, ইলিশ ভাজা, কোরাল মাছ, গলদা চিংড়ি, খাসির মাংসসহ নানান ধরনের সবজি। তরুণদের রান্নার হাত তত ভাল হওয়ার কথা নয়, তার পরেও বেশ হয়েছে। হয়তো তরুণীরা সাহায্য করায় রান্না চমৎকার হয়েছে। কড়া ঝাল মিশিয়ে একেবারে শুকনো করে রেঁধেছে। যে বয়সে তাদের হেসেখেলে বেড়ানোর কথা, সেই বয়সে একটা দায়িত্বপূর্ণ কাজ করতে এসে নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছে, বিষয়টি কিন্তু সোজা কথা নয়! খাওয়ার মাঝামাঝিতে আমার প্লেটে খাসির মাংস পরিবেশন করল তরুণদের একজন। উচ্চরক্তচাপের কারণে মাংস জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলি আমি। তথাপিও সমাজরক্ষার্থে এক টুকরা মাংস মুখে তুলে নিলাম। মাংসের টুকরাটা মুখে দিতেই আমার কাছে কেমন জানি অপরিচিত খাবার মনে হলো। মনে খটকা লাগতেই আমার সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করলাম, ‘মাংস থেকে কি ঘেসো গন্ধ পাচ্ছ তোমরা?’ সিকান্দার বারী মুখে দিয়ে বলল, ‘আমার কাছেও সেরকম মনে হচ্ছে।’ একে একে মুখে দিলো বিনময় ভৌমিক ও মহব্বত দয়াল। তারাও একই কথা জানাল। তবে মহব্বত দয়াল চুপিচুপি বাড়তি কথা যোগ করল, ‘এটা খাসি ছাগলের মাংস নয়, এটা হচ্ছে হরিণের মাংস।’ কথাটা কানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার মুড অফ হয়ে গেল; মনে মনে আমি রেগে গেলেও তা প্রকাশ করিনি। ভাবলাম এত বছর জঙ্গলে কাটিয়েও যে কাজটা আমি করিনি, তারা দুই দিনেই সেই জঘন্য কাজটা করে ফেলল! আমরা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতেই দলনেতা বললেন, ‘রান্নায় কোন ধরনের সমস্যা হয়নি তো? অতিরিক্ত ঝাল অথবা লবণ...।’ বললাম, ‘সে ধরনের কিছু না, সমস্যাটা হচ্ছে মাংস নিয়ে। এটা কিসের মাংস খাচ্ছি বলতে পারবেন?’ ‘খাসি ছাগলের মাংস।’ ‘আপনি কি নিশ্চিত খাসির মাংস? কোত্থেকে এনেছেন মাংসটা?’ ‘গতকাল বিকেলে ট্রলার চালককে টাকা দিয়েছি বাজার থেকে সদাইপাতি নিয়ে আসতে। বলেছি মাছের সঙ্গে খাসির মাংস কিনে আনতে। সে সকালে সদাইপাতি দিয়ে গেছে। কেন কিছু হয়েছে নাকি?’ ‘শুধু হয়নি, অনেক কিছুই হয়েছে।’ কথাটা শুনে তার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল। বললেন, ‘খুলে বলুন প্লিজ, আমি বুঝতে পারছি না।’ তার মুখাবয়বের পরিবর্তন দেখেই বুঝে নিয়েছি তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। যাকে দিয়ে বাজার সদাই করিয়েছেন, সেই লোকটাই এ জঘন্য কাজটি করেছে। খাসির মাংসের টাকা মেরে দিয়ে হরিণের মাংস গছিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ খাসির মাংসের তুলনায় কমদামে হরিণের মাংস কিনেছে চোরশিকারীদের কাছ থেকে। এই হচ্ছে আসল ঘটনাটা, যদি আমার অনুমান ভুল না হয়। আমি বললাম, ‘এটা হরিণের মাংস। ট্রলার চালক আপনার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’ তারপর বিস্তারিত খুলে বলতেই তিনি আফসেট হয়ে পড়লেন। বললেন, ‘বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে এসে বন্যপ্রাণী নিধনে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করলাম; বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। আমি ভেবেছি লোকটা স্থানীয়, বাজার সদাই তাকে দিয়ে করালেই ভাল হবে; চেনা জানা আছে তার। সেটা মনে করেই দায়িত্বটা দিলাম ওকে।’ ‘অপকর্ম স্থানীয়দের দ্বারাই বেশি ঘটে। ওদের সিন্ডিকেট আছে, সেটা অবশ্য আপনার জানার কথাও নয়। কথা হচ্ছে আপনি জেনেশুনে কাজটা করেননি, সুতরাং আপনি নির্দোষ, আফসেট হবেন না। আমরা ট্রলার চালক সম্পর্কে বন বিভাগে রিপোর্ট করবো; আশা করি শাস্তি হবে ওর।’ আমার কথায় আশ্বস্ত হলেন তিনি। দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, ‘ওকে ধরিয়ে দেন, প্রয়োজনে আমরাও বিস্তারিত জানাব।’ আমার সঙ্গীরা মাংস খেলেও আমি আর সেই মাংস মুখে দিলাম না। তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দলনেতাকে বছরখানেক আগে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনাটা শুনলাম। কীভাবে দুষ্কতকারীরা রাতের আঁধারে হরিণ শিকার করেছে সেই ঘটনা বিস্তারিত জানালাম। সব শুনে তিনি বললেন, ‘আমি ঢাকা গিয়ে এ বিষয়ে খবরের কাগজে আর্টিকেল লিখব। তাতে আশা করি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়বে বিষয়টি।’
×