ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জেলখানায় কয়েদীর গল্পের সূত্র ধরে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, ৫ ডাকাত গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ৩ মে ২০২১

জেলখানায় কয়েদীর গল্পের সূত্র ধরে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, ৫ ডাকাত গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ জেলখানায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা বাজারের আলোচিত ১১ দোকান ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এবং ক্লুলেস ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদের গ্রেফতার ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত ট্রাক আটক করাকে নিজ জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। সোমবার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। গ্রেফতারকৃতরা হল, বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চোঠ বেড়া গাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুর রহমান(৩৮), নওগাঁ সদর উপজেলার বিল ভবানীপুর গ্রামের মৃত গণি মন্ডলের ছেলে শাহজাহান মন্ডল(৩৮), রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ধন্দহ’র গোলজার হোসেনের ছেলে মোঃ সেলিম(২২), নওগাঁ সদর উপজেলার মৃত তমিজ মোল্লার ছেলে মোঃ নাসের(৫৫), রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার ফুলপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলম(২৭)। পুুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ২১ জানুয়ারি বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা বাজারে ১১টি দোকানে ডাকাতি হয়। পুলিশ কোনভাবেই এই মামলার কুল কিনার উদ্ধার করতে পারছিল না। এমন সময় জেলখানায় এই ঘটনায় জড়িত ছিলো বলে দাবি করে গল্প করেন রিপন নামের কয়েদী। পরে জেল ফেরত আসামীদের কাছ থেকে ঘটনা জানতে পেরে অভিযানে নামে পুলিশ। নওগা ঁজেলায় অভিযান চালিয়ে আব্দুর রহমান, শাহজাহান আলী, মোঃ নাসের, মোঃশাহীন আলী গ্রেফতার করা হয় এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত ট্রাক উদ্ধার করা হয় । ডাকাতিতে জড়িত ১২ আসামীর মধ্যে ৫ জন মূল আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে আব্দুর রহমান এবং শাহজাহান আলী নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। ডাকাতরা আন্তর্জাতিকমানের ডাকাতি সংঘটিত করে আসছে সারাদেশে। এই চক্রকে গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় আনার ফলে এই অঞ্চলে ডাকাতি কমবে বলে দাবি করেন নাটোরের পুলিশ সুপার।
×