ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভার শপথের সুবর্ণজয়ন্তী

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ১৭ এপ্রিল ২০২১

মন্ত্রিসভার শপথের সুবর্ণজয়ন্তী

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও মুজিববর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণ ২০২০। এর সঙ্গে যুক্ত স্বাধীন-সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ ও তার সরকারের সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১। এই সুবর্ণজয়ন্তী অবশ্যই ২৬ মার্চ। ১৯৭১ সালের এদিন থেকে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার বিশিষ্ট এ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। কিন্তু মন্ত্রিসভার শপথের পঞ্চাশ বছর আজ ১৭ এপ্রিল। কারণ এ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগরে)। রাষ্ট্র থাকলে তার সর্বোচ্চ আইন তথা সংবিধানও থাকা লাগে যার অধীনে মন্ত্রিসভার শপথ নেবার প্রশ্ন ওঠে। হয়েছিলও তাই। সাত দিন আগেই ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান গৃহীত হয়ে গিয়েছিল। নাম তার The Proclamation of Independence (স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র)। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম লিখিত সংবিধান ছিল এ দলিল। এটিকে কার্যকারিতা (retrospective effect) প্রদান করা হয় বাংলাদেশ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে অর্থাৎ ২৬.০৩.১৯৭১ থেকে। এ সংবিধানেই উল্লিখিত হয় যে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আরও বলা হয় যে, রাষ্ট্রপতির অবর্তমানে তাঁর কার্য সম্পাদন করবেন উপ-রাষ্ট্রপতি। এ সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতা ছিল ‘একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ’ করার এবং ‘তাঁহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য মন্ত্রী নিয়োগ’ করার। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতম আইনজ্ঞ-সহচর কুষ্টিয়ার মধুপুরের কৃতীসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্বাচিত MNA ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম কলকাতা হাইকোর্টের ব্যারিস্টার সুব্রত রায় চৌধুরীর সহযোগিতায় এটির ড্রাফ্ট তৈরি করেন এবং ১০.০৪.১৯৭১ বাংলাদেশের প্রথম পার্লামেন্ট ‘গণপরিষদ’ (তথা আইন বিভাগ) এটি গ্রহণ করে। এ পার্লামেন্টের মোট ৪৬৭ সদস্যের মধ্যে সেদিন সমবেত হয়েছিলেন ৪০৩ জন সাংসদ, যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৭০-এর সংসদ নির্বাচনে। এরাই ছিলেন সারা বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। অতঃপর Proclamation of Independence-নামক সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণ করেন চার সদস্যের মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তাজউদ্দীন আহমদ। অন্য মন্ত্রিগণ ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান (স্বরাষ্ট্র), খন্দকার মোশতাক (পররাষ্ট্র) এবং মনসুর আলী (অর্থ)। আজ বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভার শপথ বা আবির্ভাব দিবসে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক ব্যতিরেকে বাকি তিনজনকে প্রণত শ্রদ্ধা ও মরণোত্তর অভিনন্দন। সেই সঙ্গে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম আর প্রকৃত রাষ্ট্রপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এটি কাকতালীয় কি-না জানি না, যেখানে বিনাশ সেখানেই সূচনা। বর্তমান মেহেরপুর জেলার ঠিক যেখানে ১৭৫৭ সালে নীল কুঠিতে রবার্ট ক্লাইভ গং-এর সঙ্গে বাঙালী বিশ্বাসঘাতকদের একটি ক্ষুদ্র সভায় ষড়যন্ত্র হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতন ঘটানোর মাধ্যমে গোটা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত করার, ঠিক তার পাশেই মুজিবনগরে ২১৪ বছর পর ঐ বাংলারই স্বাধীনতার জন্য সোনার বাংলার অস্তমিত স্বাধীনতা-সূর্যকে উদিত করবার জন্য ১৯৭১ সালে বৃহৎ সভায় মিলিত হয়েছিলেন সারা বাংলার ৪০৩ জন প্রতিনিধি। বলা বেঠিক হবে না যে, ঐ দামাল সাংসদদের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশের মানুষই যেন সেখানে ছিল উপস্থিত। সেই সঙ্গে এ-ও যেন প্রকৃতির অনিবার্যতা যে, বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার আশপাশে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে যেমন ছিল বিশ্বাসঘাতক সেনাপতি মীর জাফর আলী খাঁ, তেমনি বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের আশপাশে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে ছিল বিশ্বাসঘাতক মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ। মীর জাফর নিজ হাতে হত্যা করেনি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে, অন্যকে দিয়ে হত্যা করেছিল, তেমনি খন্দকার মোশতাকও নিজ হাতে হত্যা করেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, অন্যকে দিয়ে হত্যা করেছিল। পরাধীন বাংলায় মীর জাফর নবাব হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল, স্বাধীন বাংলায় খন্দকার মোশতাক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। এ কারণেই বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভার তিনজনকে তথা প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও অর্থমন্ত্রী মনসুর আলীকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাতে পারলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাককে তা জানাতে পারলাম না। যারা স্বাধীনতার ঘোষক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তাদের ক্ষেত্রে অতি উদারবাদী হওয়া উচিত নয় বৈকি। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের হাতে ন্যস্ত ছিল কয়েকটি মন্ত্রণালয়, যেমন : প্রতিরক্ষা, তথ্য, সম্প্রচার ও যোগাযোগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক, পরিকল্পনা বিভাগ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজ কল্যাণ, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য, যেগুলোর দফতর বন্টিত হয়নি তখনও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামানের হাতে ন্যস্ত ছিল গণসরবরাহ (সিভিল সাপ্লাই), ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রী মনসুর আলীর হাতে ন্যস্ত ছিল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদের হাতে ছিল আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিগণকে শপথ পাঠ করান আবদুল মান্নান এমএনএ এবং ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হন কর্নেল এম এ জি ওসমানী। বেলা ১২:৩০ থেকে ১টার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ডাঃ এস এ মালেকের নেতৃত্বাধীন বর্তমান বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঝিনাইদহের তৎকালীন এসডিপিও (সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার) মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের নেতৃত্বে ১৬ জন আনসার ও ৪ জন পুলিশ সদস্যের একটি চৌকস বাহিনী, যে বাহিনী গৌরবের অধিকারী ও বাংলার ইতিহাসের অংশ। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যখন গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন তখন তাঁর পেছনে মঞ্চে ছিলেন প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানী আর মঞ্চের পেছনে দন্ডায়মান ছিলেন প্রধানমন্ত্রীসহ চারজন মন্ত্রী। গার্ড অব অনার শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর, যিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছিলেন সেই, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ শেখ মুজিবকে সেদিনের বৈদ্যনাথ তলায় বিজড়িত করে রাখার উদ্দেশ্যে স্থানটির নতুন নাম রাখলেন ‘মুজিবনগর’ (সূত্র : এসডিপিও মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সঙ্গে লেখকের ফোনালাপ, ১৪ এপ্রিল ২০২১)। এ প্রসঙ্গে একটি কথা বলা আবশ্যক। গোটা বাংলাদেশ থেকে গেল, তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগরকে কেন মুক্তিযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দ সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন? এর উত্তর দুটি। এক. পার্শ¦স্থ দর্শনা হয়ে কলকাতার যোগাযোগ বাংলাদেশের অন্যান্য বর্ডার এলাকার চেয়ে সহজতর ছিল। শপথ গ্রহণের পরই মন্ত্রী ও নেতৃবর্গ কলকাতায় আশ্রয় ও অবস্থান নেন এবং বালাদেশ সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকেন। কলকাতা থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লী যাতায়াতও বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাজ্য যেমন অসম, ত্রিপুরা প্রভৃতি থেকে সহজ ছিল। দুই. কুষ্টিয়া জেলা ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাক হানাদার বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত থাকলেও তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে ও আক্রমণে পলায়ন করে এবং ১ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম জেলা হিসেবে কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত থাকে। এ সময়টুকু মুক্তাঞ্চল থাকায় নেতৃবৃন্দের তাৎক্ষণিক শাণিত সিদ্ধান্তে কুষ্টিয়া জেলায় উল্লিখিত সকলে সমবেত হন এবং কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী হয়ে পড়ে। আরেকটি কথা বলেই এ লেখা সমাপ্ত করি। আমরা ১৭ এপ্রিলকে মন্ত্রিসভার শপথের সুবর্ণজয়ন্তী বলছি, সরকারের নয়। কারণ সরকারের সুবর্ণজয়ন্তী স্বাধীনতা দিবসে বা ২৬ মার্চেই। একাত্তরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে যেহেতু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন সেহেতু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র ঠিক তখন থেকেই বিদ্যমান। সংবিধান বা Proclamation of Independence অনুযায়ী তিনি ঐ মুহূর্ত থেকেই রাষ্ট্রপতি। তিনি যেহেতু রাষ্ট্রপতি (রাষ্ট্রের পতি) সেহেতু রাষ্ট্রের চারটি উপাদান (ক) নির্দিষ্ট ভূখন্ড, (খ) একাদর্শী (বাঙালী) জনগোষ্ঠী, (গ) সরকার ও (ঘ) সার্বভৌমত্ব ২৬ মার্চ থেকেই বিদ্যমান ছিল। অতএব স্পষ্ট যে, সরকার তখন থেকেই ছিল। বলতে পারেন, সরকারের তিনটি অঙ্গ আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগ কি তখন ছিল? উত্তর হলো : হ্যাঁ অবশ্যই ছিল। কিভাবে? দেখুন, এপ্রিলের ১০ তারিখ যেদিন প্রথম সংবিধান ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয় সেদিন উক্ত ‘ঘোষণাপত্রের’ ক্ষমতা বলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম Laws Continuance Enforcement Order নামক একটি আইন জারি করেন যা বিগত ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকেই (retrospective) কার্যকর হয়। সারা পৃথিবীতে রাষ্ট্রপতির এরকম আইন (Order) তৈরির ক্ষমতা থাকে। এতে তিনি একাত্তরের ২৫ মার্চে (তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে) যত সিভিল অফিসার ও বিচার বিভাগীয় অফিসার ছিলেন তাদের সবার উদ্দেশে বলেন, যাঁরা বাংলাদেশের প্রতি শপথপূর্বক আনুগত্য প্রকাশ করবেন তারা তাদের অফিস ও কার্য চালিয়ে যেতে পারবেন। এর প্রেক্ষিতে তারা সবাই আনুগত্য প্রদর্শনপূর্বক কর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন। এই সিভিল অফিসারদের নিয়েই তো শাসন বিভাগ, আর বিচার বিভাগীয় অফিসাদের নিয়েই বিচার বিভাগ। আর আইন বিভাগ মানে পার্লামেন্ট তথা ‘গণপরিষদের’ ৪০৩ জন সদস্য (MNA ও MPA)-গণতো সেদিন মুজিবনগরে নিজেরা উপস্থিত থেকে The Proclamation of Independence নামক সংবিধান গ্রহণ করেছেন যারা এ দলিল অনুযায়ী একাত্তরের ২৬ মার্চ থেকেই গণপরিষদ-সদস্য হিসেবে কার্যকর, ক্ষমতাশীল ও দায়িত্বশীল ছিলেন। সুতরাং সরকারের তিনটি বিভাগের উপস্থিতি ছিল ২৬ মার্চ থেকেই। আইনগত কোন গ্যাপ বা ত্রুটি এক্ষেত্রে ছিল না। শাসন বিভাগের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী লাগে। এই মন্ত্রিগণই শপথ নিয়েছিলেন ১৭ এপ্রিল ১৯৭১। সেই তখন থেকে অদ্যাবধি যত স্বাধীনতাপন্থী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপন্থী, বাঙালীপন্থী, বাঙালী জাতীয়তাবাদপন্থী ও বঙ্গবন্ধুপন্থী মন্ত্রী ছিলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন তাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। লেখক : অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, সাবেক ডিন, আইন অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া এবং সদস্য, কেন্দ্রীয় পরিচালনা বোর্ড, বঙ্গবন্ধু পরিষদ
×