ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আক্রান্ত স্পেনের পাওলা বাদোসা

আশঙ্কাই সত্য, ছিটকে গেলেন মারে

প্রকাশিত: ০০:১৯, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

আশঙ্কাই সত্য, ছিটকে গেলেন মারে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হলো। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা হচ্ছে না এ্যান্ডি মারের। বছরের প্রথম মেজর এই টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন ব্রিটিশ তারকা। গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনবারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী এ্যান্ডি মারে। এরপর থেকেই তার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। যদিও গ্র্যান্ডস্লাম শুরুর আগে অবধি এই সময়কালের মধ্যে মারে সুস্থ হলে তাকে বিশেষ চার্টার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আয়োজক কর্তৃপক্ষ। লন্ডন থেকে মেলবোর্নগামী বিমানে চড়ার মাত্র কয়েকঘণ্টা আগেই মারের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর মেলবোর্নগামী প্রতিযোগীদের বিমানে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটায় সমস্ত হিসেব-নিকেশ বদলে যায়। মেলবোর্নে পৌঁছানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা সংক্রমিত হন একাধিক প্রতিযোগী। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমিত খেলোয়াড় কিংবা সাপোর্ট স্টাফদের সংস্পর্শে থাকা প্রত্যেকের কোয়ারেন্টাইন আরও কঠোরভাবে বলবৎ করা হয়। বাকিদের অনুমতি মিললেও কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রতিযোগীদের ১৪ দিন হোটেলের রুম থেকে বেরনোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনিতেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত লন্ডনে সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন মারে। তাই মেলবোর্নে পৌঁছে আবারও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে সায় ছিল না ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী এই তারকার। বিষয়টি নিয়ে টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কয়েকবার আলোচনাও হয় মারের। কিন্তু তার ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন নিয়ম শিথিল না হওয়ায় শেষমেষ বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতেই বাধ্য হলেন মারে। ব্রিটিশ তারকা এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে মারের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়টি ভক্ত-অনুরাগীদের জানিয়ে দিয়েছে। মারে জানান, ‘টেনিস অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওয়ার্কেবল কোয়ারেন্টাইন নিয়ে আমার নিয়মিত কথা হয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে প্রচেষ্টার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। অস্ট্রেলিয়ায় না খেলতে পারার জন্য আমি ভীষণভাবে হতাশ। অস্ট্রেলিয়া এমন একটা দেশ যেখানে আমি বরাবরই খেলতে পছন্দ করি।’ বর্তমান বিশ্বের ১২৩ নম্বরে অবস্থান এ্যান্ডি মারের। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ওপেনে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পেয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মেলবোর্নে খেলার অপেক্ষাটা আরও বেড়ে গেল তার। করোনার কারণে গত ১০০ বছরে এবারই প্রথম পিছিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। চোট পুরোপুরি না সারায় নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে নাম তুলে নেন রজার ফেদেরারও। তবে দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে করোনা। সম্প্রতি মেলবোর্নে আগত তিনটি বিমানের যাত্রীদের মধ্যে করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
×