ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নৃত্যশিল্পের প্রসার ঘটলেও পৃষ্ঠপোষকতা তেমন নেই : অনন্যা ওয়াফী

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২০ জানুয়ারি ২০২১

নৃত্যশিল্পের প্রসার ঘটলেও পৃষ্ঠপোষকতা তেমন নেই : অনন্যা ওয়াফী

অনন্যা ওয়াফী রহমান সময়ের আলোচিত কত্থক নৃত্যশিল্পী। সমকালীন নানা আয়োজনে পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শক নয়নে ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। সুনিপুণ পরিবেশনার পাশাপাশি ঢাকার একটি নামী স্কুলে যুক্ত রয়েছেন নৃত্যশিক্ষক হিসেবে। কত্থক নাচে ভারতের আইসিসিআর স্কলারশিপে শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্র থেকে দীক্ষাপ্রাপ্ত এই শিল্পী জানিয়েছেন তার শিল্পজীবনের ইতিবৃত্ত। জনকণ্ঠের মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেলে ধরেছেন সেসব তথ্য। দেশে নাচের পেশাদারিত্ব কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? অনন্যা ॥ গত শতকের আশির দশকে যখন নাচ শুরু করি তখন হাতেগোনা দুই/তিনটি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। আমার মতো অনেকে নাচের ওপর ডিগ্রী নিয়ে দেশে ফিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন। এছাড়াও অনেকে নিয়মিত মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে নৃত্যের প্রসার ঘটলেও উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায় না। এ কারণে অনেকেই নাচকে পেশা হিসেবে নিতে ভয় পায়। নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে নৃত্যশিক্ষকের বোঝাপড়াটা কেমন? অনন্যা ॥ নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যশিক্ষকের কর্মকাণ্ডে রয়েছে ভিন্নতা। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে রেওয়াজ করতে হয়। নৃত্যশিল্প হলো ভিজুয়াল আর্ট। এখানে ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। প্রকৃত শিল্পীর জন্য রেওয়াজ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এই শিক্ষা গুরু-শিষ্য পরাম্পরায় গ্রহণ করতে হয়। তাই শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে নৃত্যচর্চার শিক্ষা দিয়ে থাকি। করোনাকবলিত বছরটি কেমন কাটল? অনন্যা ॥ শুরুটা বিবর্ণ হলেও বছরের শেষটা দারুণ ছিল। কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের পরিবেশনাটি দারুণ উপভোগ করেছি। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সরাসরি মঞ্চে পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ঘটেছে। আর বছর শেষে দর্শকসংযোগে পরিবেশনার পাশাপাশি অর্জন করেছি সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বপ্নকুঁড়ির সম্মাননা। সব মিলিয়ে বৈরী সময়েও খুঁজে পেয়েছি পথচলার প্রেরণা। করোনার শুরুতে ভয়ে একটু থমকে গিয়েছিলাম। তবে ভিত না হয়ে মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে নিয়মিতভাবে রেওয়াজ করেছি। বিভিন্ন পারফর্মেন্সের ভিডিও আপলোড করেছি। সে কারণে দর্শকের ভালবাসাও পেয়েছি।
×