ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২ ডিসেম্বর ২০২০

অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের কোন সীমা থাকবে না। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক) শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অটিস্টিক শিশুদের সহযোগিতা করে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোকে পাঠিয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র রুলস ১৯৭৭ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় নতুন এই অংশটি যুক্ত করার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ গত ৯ নবেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী, অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের কোন সীমা থাকবে না। যত টাকাই বিনিয়োগ করুক না কেন, তাতে কোন অসুবিধা নেই। মুনাফা থেকে অটিস্টিক শিশুদের সহযোগিতা করে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সুবিধার আওতায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট জেলার সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে প্রত্যয়ন বা সনদ নিতে হবে। সঞ্চয় অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রভিডেন্ড ফান্ড ছাড়াও মৎস্যচাষ, পোল্ট্রি, বীজ উৎপাদন, গবাদিপশু পালনসহ বেশকিছু খাতের আয় থেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যায়। এসব বিনিয়োগের ওপর প্রাপ্ত মুনাফার ওপর দেয়া কর আয়কর বিবরণীতে দেখালে কর ছাড় পাওয়া যায়। তাছাড়া বর্তমানে আমানতের সুদ হারের তুলনায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের মুনাফা অনেক বেশি। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, মেয়াদি আমানতে এখন ছয় শতাংশের বেশি সুদ দিচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে।
×