ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাসের হরিলুট বন্ধ হোক

প্রকাশিত: ২১:১৮, ২৬ নভেম্বর ২০২০

গ্যাসের হরিলুট বন্ধ হোক

গ্যাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনপ্রবাহে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকা মহামূল্যবান দাহ্য পদার্থ। ভূ-গর্ভ থেকে উত্তোলিত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস শুরু থেকে অদ্যাবধি নানাভাবে মারাত্মক অপচয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা জানি যে, ভূ-গর্ভে রক্ষিত এ সম্পদ একটা নির্দিষ্ট সময়ে এসে ফুরিয়ে যাবেই। এ সীমিত সম্পদকে সঠিকভাবে বা সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক না থাকায় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। গ্যাসের অপচয় রোধ ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে না পারলে শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধি করে এর প্রকৃত সমাধান পাওয়া যাবে না। গ্যাসের অপচয় ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হলে প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে অধিকতর গুরুত্বারোপ করতে হবে। অন্যথায় গ্যাসের হরিলুট ও অপচয় রোধ করা কখনও সম্ভব হবে না। কাজেই গ্যাসের নানাবিধ অপচয় রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র গ্রাহকের উপর বর্ধিত মূল্য চাপিয়ে দেয়া একটা ভ্রান্ত, জনভোগান্তি ও সেকেলে ধারণা বলে মনে করি। রাজধানী বা এর আশপাশের কোন একটা নির্দিষ্ট জায়গার বাসা-বাড়িসহ ছোট বড় কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলে দেখা যায় শত শত অবৈধ সংযোগ। অনেকের ক্ষেত্রে অসম বণ্টনেরও ভয়ঙ্কর চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত বর্তমান মূল্য (৯৭৫ টাকা) দিয়ে হাজার হাজার টাকার গ্যাস ব্যবহার করছে। এসব নানা অসঙ্গতি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দায়ী নয় কি? অন্যদিকে ওয়াসা কর্তৃক সরবরাহকৃত পানীয় জল বিশুদ্ধকরণেও প্রতিদিন গ্যাসের বড় একটা অংশ অপচয় হচ্ছে। বিগত বছর খানেক থেকে আমাদের বাসাসহ আশপাশের বিল্ডিংগুলো প্রিপেইড মিটারের আওতাভুক্ত হওয়ায় সবার মধ্যে গ্যাস ব্যবহারে অধিকতর সচেতনতা ও মিতব্যয়িতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুতরাং এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হলে প্রিপেইড মিটারের কোন বিকল্প নেই। রাউজান, চট্টগ্রাম থেকে
×