ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টানা দুই জয় লিভারপুলের

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ২৯ অক্টোবর ২০২০

টানা দুই জয় লিভারপুলের

জাহিদুল আলম জয় ॥ কখনও আকাশে, আবার কখনও বা পাতালে! নতুন মৌসুমে স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদের পারফর্মেন্স ঠিক এমনটাই। দিনকয়েক আগে লা লা লিগায় এল ক্ল্যাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সিলোনাকে ৩-১ গোলে হারায় রিয়াল। ওই ম্যাচের আগে নবাগত কাদিজের কাছে হেরেছিল গ্যালাক্টিকোরা। তারও আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শুরুতে শাখতার ডোনেস্কের কাছেও হেরেছিলেন রামোস-মডরিচরা। ক্লাসিকো জয়ের পর টগবগে মেজাজ নিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে মাঠ নামে জিনেদিন জিদানের দল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারতে বসেছিল টুর্নামেন্টের রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। জার্মান ক্লাব বরুসিয়া মনশেনগ্লাডব্যাচের মাঠে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ সাত মিনিটে সমতা ফেরায় (২-২) রিয়াল। আর তাতে টানা দুই ম্যাচে হারের লজ্জা থেকে বেঁচেছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইন্টার মিলানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে শাখতার। মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার তলানিতে রিয়াল। জার্মানির বরুসিয়া পার্কে ফরাসী ফুটবলার মার্কাস থুরামের জোড়া গোলে ৫৮ মিনিটে দুই গোলে এগিয়ে যায় মনশেনগ্লাডব্যাচ। এর আগে ৩৩ মিনিটে প্রথম গোল করেন তিনি। এরপর প্রাণান্ত চেষ্টা করেও গোল পাচ্ছিল না সফরকারী রিয়াল। টানা দুই ম্যাচে তাদের হার সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল! কিন্তু শেষ সাত মিনিটের রোমাঞ্চে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির ড্র করেছে গ্যালাক্টিকোরা। ৮৭ মিনিটে করিম বেনজেমা প্রথম গোল করে রিয়ালকে চাঙ্গা করেন। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে (৯০+৩) কাসেমিরোর গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। ম্যাচটি হেরে গেলে অগৌরবের রেকর্ডে নাম সেটে যেত রিয়ালের। এক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা চার ম্যাচে হার হয়ে যেত তাদের! গত মৌসুমে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেও হেরেছিল জিদানের দল। তবে কোনমতে হার এড়ানোর ম্যাচ থেকেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান। কোণঠাসা অবস্থায় খেলোয়াড়রা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে মুগ্ধ ফরাসী কোচ। ম্যাচ শেষে জিদান বলেন, আমরা ভাবিনি ম্যাচটা এমন নাটকীয় হবে। তবে আমার দল দেখিয়েছে যে তারা জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। আমার মনে হয় প্রথমার্ধে আমরা খুব ভাল খেলেছি। কিন্তু মারাত্মক এক ভুলে আমরা প্রথম গোলটা হজম করেছি। ‘এ’ গ্রুপে টানা দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্ন মিউনিখ। প্রথম ম্যাচে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে উড়িয়ে দেয়া বেয়ার্ন পরশু রাতে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক রাশিয়ান ক্লাব লোকোমোটিভ মস্কোকে। ম্যাচের ১৩ ও ৭৯ মিনিটে বাভারিয়ানদের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে লিও গোরেটজকা ও জশুয়া কিমিচ। ৭০ মিনিটে মস্কোর হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন এ্যান্টন মিরানচুক। গ্রুপের আরেক ম্যাচে অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুলস সালসবার্গকে ৩-২ গোলে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ‘সি’ গ্রুপে টানা দুই ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। মার্শেইতে স্বাগতিক ফরাসী ক্লাব অলিম্পিক মার্শেইকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্ডিওলার দল। আরেক ম্যাচে গ্রীসের অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালের এফসি পোর্তো। স্টাটে ভেলডোরোমে ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফেরান টোরেসের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেয়েছেন স্প্যানিশ উইঙ্গার। ৭৬ মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে ইকে গুন্ডোগান ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮১ মিনিটে রাহিম স্টার্লিং হেডে গোল করে সিটির জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষে সিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, আমরা সত্যিই দারুণ খেলেছি। ম্যাচে একটি গোলও হজম করিনি। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের দখলে ছিল। এমন আগ্রাসী মনোভাবই আমি সব সময় ছেলেদের কাছ থেকে আশা করি। এই পারফর্মেন্স ও ফলাফলে আমি খুব খুশি। গার্ডিওলা আরও বলেন, এ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পাওয়া সবসময়ই কঠিন। সেই কাজটা ভালমতো করে দেখিয়েছে ছেলেরা। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে টানা দুই জয় পেয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলও। ঘরের মাঠ এ্যানফিল্ডে ডেনমার্কের ক্লাব মিডজিল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দ্য রেডসরা। ৫৫ মিনিটে বিজয়ী দলের হয়ে প্রথম গোল করেন দারুণ ফর্মে থাকা দিয়াগো জোটা। এরপর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে (৯০+৩ মিনিট) পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মদ সালাহ।
×