ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সবকিছুই ইতিবাচক দেখছেন মাহমুদুল্লাহ-নাজমুল

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৩ অক্টোবর ২০২০

সবকিছুই ইতিবাচক দেখছেন মাহমুদুল্লাহ-নাজমুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ৭ মাস পর শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই নয়, ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজন করে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে সিরিজ। ৩ দলের এই আসর থেকে অনেক ইতিবাচক বিষয় খুঁজে পেয়েছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ও টি২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং তরুণ উদীয়মান টপঅর্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তারা জানিয়েছেন এই টুর্নামেন্টের ইতিবাচক দিকগুলো। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের শুরুর ৩ ম্যাচ পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম করতে দেখা গেছে। বোলারদের দাপটে রান করতে হিমশিম খেয়েছেন তারা। দীর্ঘ বিরতির কারণে তাদের যে স্বাভাবিক সামর্থ্য, স্বচ্ছন্দ আর মৌলিক টেকনিকগুলোয় জড়তা ভর করেছিল তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্বীকৃত কোন ওয়ানডে সিরিজ না হলেও বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি ঘোষণা দিয়ে বিসিবি ক্রিকেটারদের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আসে। আর এটাই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, ‘সবাই খুব সিরিয়াসলি খেলেছি। সবাই খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মানসিকতা নিয়েই খেলেছি। সবার মধ্যেই প্রতিযোগিতাটা ছিল যেন আমরা ভাল পারফর্ম করতে পারি। সবমিলিয়ে বলব এই টুর্নামেন্টটা আমাদের সবার জন্যই খুব ভাল প্রস্তুতি ছিল।’ এই আসরে গত ফেব্রুয়ারিতে যুব বিশ্বকাপ জিতে আসা দলের ৯ ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। তারা সিনিয়র ও অভিজ্ঞ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করেছেন এবং অনেক কিছু শিখেছেন। এই তরুণদের নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘তরুণ খেলোয়াড়দের কথা যদি বলি আমাদের দলের জয় (মাহমুদুল হাসান) খুব ভাল পারফর্ম করেছে। এছাড়াও হৃদয় ভাল পারফর্ম করেছে, আফিফ ভাল করেছে এবং অনুর্ধ-১৯’র অনেক খেলোয়াড়ই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। আমার মনে হয় এটা তাদের জন্য একটা খুব ভাল উন্নয়নমূলক দিক ছিল।’ এই আসরে ২২ বছর বয়সী শান্ত নাজমুল একাদশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার দলে ছিল অনেক তরুণ ক্রিকেটার। তিনি এই আসরের ইতিবাচক দিক নিয়ে বলেন, ‘সবচেয়ে ভাল ব্যাপার ছিল অনেকদিন পর আমরা সবাই এমন একটা টুর্নামেন্ট খেলতে পারলাম। সবাই একত্রিত হয়ে মাঠে খেলাটাও অনেক বড় ব্যাপার ছিল আমাদের জন্য। সার্বিকভাবে অনেক পজিটিভ দিক ছিল। এর মধ্যে আমার কাছে মনে হয় যে মুশফিক ভাইয়ের একটা ইনিংস, আফিফের একটা ইনিংস এবং তৌহিদ হৃদয় আর ইরফান শুক্কুর ভাইয়ের ভাল কিছু ইনিংস ছিল। আর বোলিং বিভাগে যদি চিন্তা করি অবশ্যই তাসকিন, আল-আমিন ভাই, নাঈম সবাই অনেক ভাল বোলিং করেছে। তাই নিজেদের মধ্যে বেশ ইতিবাচক একটি প্রতিযোগিতাও হয়েছে।’
×