ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গীতাঞ্জলির ‘ভালবাসার উপহার’

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৮ আগস্ট ২০২০

গীতাঞ্জলির ‘ভালবাসার উপহার’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রান্তিকালে উত্তরা জনপদে কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পী-কলাকুশলী এবং সাংস্কৃতিক কর্মী যাদের জীবিকা মূলত সাংস্কৃতিক কর্মকে উপজীব্য করে, তাদের পাশে ‘ভালবাসার উপহার’ সামগ্রী নিয়ে বন্ধুর মতো দাঁড়িয়েছে উত্তরার ঐতিহ্যবাহী ললিতকলা একাডেমি। মার্চে লকডাউন শুরু হলে মানুষ যখন গৃহবন্দী তখন একাডেমির মহাপরিচালক মাহবুব আমিন মিঠু উত্তরার অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতা নিয়ে প্রথম পর্যায়ে নিম্ন আয়ের পাঁচ শতাধিক পরিবারের হাতে তুলে দেন সাংসারিক উপকরণ-আর্থিক প্রণোদন এবং করোনা প্রতিরোধক স্যানিটাইজ উপাদানের সমন্বিত ভালবাসার উপহার সামগ্রী। মহামারী যখন বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে পড়ল এবং কর্মহীনতা যখন গ্রাস করে তুললো সংস্কৃত অঙ্গনের মানুষদের তখন গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি, উত্তরার সংস্কৃতকর্মীদের প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে, তাৎক্ষণিক সহযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করল প্রায় দুই শতাধিক বাদ্যযন্ত্রী, মঞ্চের নেপথ্যকর্মী, সঙ্গীতশিল্পী, আবৃত্তিকার, নৃত্যশিল্পী, অভিনয় শিল্পীসহ শিল্পাঙ্গনের প্রায় দুই শতাধিক শিল্পী এবং শিল্পসংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক মানুষের তালিকা প্রণয়ন। তারপর ধারাবাহিকভাবে সেই মার্চ থেকে আজকে চলতি আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত শিল্পী এবং শিল্পসংশ্লিষ্ট মানুষদের মাঝে ‘ভালবাসার উপহার’ সামগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে মোট সতেরো বার। এই বিপুল শিল্পবান্ধব কর্মযজ্ঞ সফলভাবে সম্পন্ন করে চলা প্রসঙ্গে গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির পরিচালক মাহবুব আমিন মিঠু বলেন, বিপন্ন সময়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলি আমরা আমাদের সবটুকু আন্তরিকতা নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং সাংস্কৃতিক মানুষদের পাশে দাঁড়াব। আমাদের আন্তরিক আহ্বানে আমাদের পাশে বলিষ্ঠভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, সদ্য প্রয়াত ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, উত্তরা জোনের উপপুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবালসহ আরও অনেকে। আমরা ইতোমধ্যে ভালবাসার উপহার নিয়ে সতেরোবার দাঁড়িয়েছি সংস্কৃতি কর্মীদের পাশে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই ক্রান্তিকালে আমাদের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা পরস্পর হাতে হাত ধরে এই গ্রহণকাল অতিক্রম করবই কেননা আমরা বিশ্বাস করি, গ্রহণকালকে হঠাতে আলো আসবেই।
×