ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

নক্ষত্রের মহাপ্রয়াণ ॥ জেআরসি কমিটির সুপারিশ ও প্রভাব

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ১৭ আগস্ট ২০২০

নক্ষত্রের মহাপ্রয়াণ ॥ জেআরসি কমিটির সুপারিশ ও প্রভাব

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের নীতিনির্ধারণী দিকনির্দেশনা হিসেবে প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশগুলো খুবই গুরুত্ব বহন করে। কমিটি আর্থক খাতে ও অবকাঠামো খাতে যেসব সুপারিশ করে তা ছিল যুগান্তকারী। কম্পিউটারেরর ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করার আনুষ্ঠানিক সুপারিশটি আজকের বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে একটি বড় নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। অবকাঠামো খাতেও কম্পিউটার শিক্ষত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার সুপারিশই আজকে অন্তত স্কুল পর্যায় পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কম্পিউটার শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জেআরসি কমিটির আরও দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল অবকাঠামো ও পণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ক। কমিটি এটি উপলব্ধি করে যে অবকাঠামো যদি সঠিকভাবে গড়ে তোলা না যায় তবে রফতানি স্বপ্নই থেকে যাবে। অন্যদিকে কেবল পণ্য উৎপাদন নয় সঠিকভাবে যদি সেই পণ্য বাজারজাত না করা যায় তবে সেই খাত থেকে সুফল আশা করা যায় না। সেই কারণেই কমিটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কেমন করে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের বাজার প্রসারিত করা যায় তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করে। অবকাঠামো খাত : সফটওয়্যারের জন্য কোন কপিরাইট প্রোটেকশন না থাকায় কমিটি ডব্লিউটিও চার্টার অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কপি রাইট আইন প্রণয়নের জন্য সুপারিশ করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ব্যয় সাশ্রয়ী উচ্চ গতির ডেটা এবং ভয়েজ কমিউনিকেশন্স লিঙ্ক স্থাপন, দেশে ইন্টারনেট সংযোগ প্রতিষ্ঠা, সাশ্রয়ী দামে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা, ভিসেট এর মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স সুবিধা সহজলভ্য করার সুপারিশ করে। বিটিটিবির স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন্স লিঙ্ক ধীরগতি এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় বেসরকারী খাতকে নিজস্ব স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন্স লিঙ্ক স্থাপনের সুযোগ প্রদান, বন্দরসমূহে ডিজিটাল পণ্যের কাস্টম ছাড়পত্র সময়সাপেক্ষ হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য খালাসের প্রয়োজনে মনোনীত নির্ধারিত বন্দরে পৃথক সেল তৈরি, বিসিসিতে কেন্দ্রীয় গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, সফটওয়্যার উন্নয়ন এবং ডেটা প্রসেসিং সার্ভিসে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহকে এর আলোকে এ্যাসোসিয়েশন গঠনে উৎসাহিত করা, ডিজিটাল খাতের জন্য সর্বক্ষণিকভিত্তিক ইপিবি থেকে একজন সহকারী পরিচালককে নিয়োজিত করার সুপারিশ করা হয়। জামিলুর রেজা কমিটি ঢাকার অদূরে টঙ্গী-আশুলিয়া রোডের সুবিধামতো স্থানে প্রয়োজনীয় সকল সুবিধাসহ ইনফরমেশন টেকনোলজি ভিলেজ বা আইটিভি প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। এ ছাড়া একটি শক্তিশালী টেলিকম অবকাঠামো তৈরির জন্য দেশব্যাপী আইএসডিএন বা এইচডিএসএল অথবা এডিএসএল লাইন এবং একটি ফাইভার অপটিক ব্যাকবোন প্রতিষ্ঠায় বিটিটিবিকে নিন্দেশনা প্রদান, বাংলাদেশে একটি কমিউনিকেশন্স হাব প্রতিষ্ঠা এবং সফটওয়্যার এবং ডেটা প্রসেসিং সার্ভিসের উন্নয়নে নীতিমালা, কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠনের জন্য সুপারিশমালা পেশ করা হয়। পণ্য বাজারজাত খাত : বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল খাতে প্রণোদনা বিষয়টি অবহিত করার মাধ্যমে বাজার সম্প্রসারণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার লক্ষ্য অর্জনে উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য বলে কমিটি মনে করে। এই পরিস্থিতিতে সফটওয়্যার খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার জন্য সিলিকন ভ্যালিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আইটি পেশাদারদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের বাছাইকৃত স্থানে সেমিনার ও বৈঠকের ব্যবস্থা করা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের সাহায্যে তাদের সমর্থন লাভের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ, সরকারী অথবা বেসরকারী সেক্টরের সকল প্রতিষ্ঠানে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত সফটওয়্যার এপ্লিকেশন ব্যবহারের মাধ্যমে ম্যানুয়েল সিস্টেমের ডকুমেন্ট ও রেকর্ডসমূহ কম্পিউটার সিস্টেমে প্রতিস্থাপনে সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহিত করা, নিয়মিত ভিত্তিতে আইটি সংগঠন এবং ইপিবি সদস্যদের সমন্বিত প্রতিনিধি দলকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং উত্তর আমেরিকায় মার্কেটিং মিশনে প্রেরণ, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে জড়িত প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রচারণার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইন্টারনেটে হোম পেজ ব্যবস্থা করা, অন্যদেশ থেকে সাব কন্টাক্ট ভিত্তিতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগানো, ডিজিটাল পণ্য ও সার্ভিস বিষয়ক আন্তর্জাতিক সব গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য ইপিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিকে নির্দেশনা প্রদান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে স্থায়ী লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনে ইপিবিকে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা, বাংলাদেশী আইটি পেশাদারদের নিয়ে ডেটা বেস তৈরি করার জন্য বিসিসিকে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে আইটি ইন্ডাস্ট্রি সদস্যগণকে আইএসও ৯০০ এবং এসইআই সনদের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করা এবং আইটি মানবসম্পদের বৈশ্বিক চাহিদা কাজে লাগাতে অধিক পরিমাণে দক্ষ আইটি পেশাদার তৈরির সুপারিশ পেশ করা হয়। তেইশ বছর পর জেআরসি কমিটির রিপোর্ট দেখে এখন মনে হচ্ছে আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারটাকে গুরুত্ব দিইনি। এর প্রধানত কারণ ছিল যে কমিটিকে সফটওয়্যার কেমন করে রফতানি করতে হবে তার পথনির্দেশনা দেয়ার জন্য গঠন করা হয়েছিল। তবে আমাদের দায়িত্ব ছিল এই কথাটি বলা যে অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারিত না হলে রফতানি করাটা কষ্টকর হয়ে যাবে। এখন তো আমার মনে হচ্ছে বিদেশী সফটওয়্যার এসে বাংলাদেশের বাজার যেভাবে দখল করছে তাতে রফতানির চেয়ে আমদানির পরিমাণ বেশি। এমনকি যেসব সফটওয়্যার বাংলাদেশে প্রস্তুত হয় বা যেসব সফটওয়্যার বাংলাদেশে প্রস্তুত হতে পারে তার জন্যও মিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে। জেআরসি কমিটির প্রভাব : ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এর পূর্ববর্তী ২১ বছরে বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদতার যে জঞ্জাল দিয়ে ভরে ফেলা হয় তা অপসারণের পাশাপাশি তৈরি হতে থাকে দেশকে এগিয়ে নেয়ার পথনকশা। প্রযুক্তি বা তথ্যপ্রযুক্তিতে এই চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদ্য প্রয়াত ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্ব¡াধীন ৯৭ সালে গঠিত ও সেই বছরেই সরকারের কাছে পেশকৃত জেআরসি কমিটির রিপোর্টটি ছিল প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান চিন্তারই ফসল। কমিটির সুপারিশ প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের ডিজিটাল পথযাত্রার ইতিহাসে আরও একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই কমিটির একজন সদস্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বাণিজ্য সংগঠন বিসিএসএর ৪ বার ও বেসিসএর ১ বার সভাপতি ও এসব সংগঠনের নির্বাহী কমিটিতে বহু বছর (অন্তত ১৮ বছর) দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কমিটির সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পেরে আমি ধন্য। পরবর্তীতে জেআরসি কমিটির সুপারিশের আলোকে ও এর সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি অতি দ্রুত বাড়তে শুরু করে। আমার নেতৃত্বে জন্ম লাভ করে সফটওয়্যার উদ্যোক্তাদের সংগঠন বেসিস যা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ট্রেডবডিসমূহের মধ্যে একটি বিরাট মহীরূহ হিসেবে আজ আবির্ভূত হয়েছে। টেলিযোগাযোগ বা ডিজিটাল যোগাযোগ প্রযুক্তি হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতির বা ডিজিটাল যুগের মহাসড়ক। এটি জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি ও উন্নয়ন সুসংহত করার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। ১৯৯৬ সালের পর সাবমেরিন সংযোগ গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তির মহাসড়কে সংযুক্ত করার পথ সুগম হয়। কিন্তু ৯৭ সালে নেয়া সাবমেরিন ক্যাবল ও স্যাটেলাইট প্রকল্প আনা জটিলতায় বাস্তবায়িত হতে পারেনি। বিএনপি সরকারের সময় দেশে সদ্যপ্রয়াত বিএনপির মন্ত্রী মুর্শেদ খানের সিটিসেল নামক একটি মাত্র মোবাইল কোম্পানিকে ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সেই টেলিকম কোম্পানির সেটসহ সংযোগ ফিস ছিলো প্রায় লাখ টাকা-কল রেট ছিল আকাশচুম্বী। সঙ্গত কারণেই মোবাইল ছিল সাধারণের নাগালের বাইরে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ৯৭ সালে মোবাইল ফোনের মনোপোলি ব্যবসা ভেঙ্গে দিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়। একচেটিয়া ব্যবসার অবসান হয়- মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পায় এদেশের সাধারণ মানুষ- দেশের টেলিযোগাযোগ খাত পরিণত হয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের একটি থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার প্রস্তুতিও তখন শুরু করেছিল। জেআরসি কমিটির সুপারিশ অনুসারে সফটওয়্যারের রফতানিতে ব্যাপক সহায়তা করা, বেসিস গঠন করা, অভ্যন্তরীণ বাজারে সফটওয়্যারের বাজার সম্প্রসারণ, মানব সম্পদ উন্নয়নসহ হাইটেক পার্ক ও কম্পিউটার ভিলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ২০০১ সালের পর বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রযাত্রা আবারও থমকে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচী বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের টেলিকম খাতের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন বাংলাদেশের এই খাতটিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের একটি থ্রাস্ট সেক্টরে পরিণত করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ এই ১১ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর সক্ষমতা বাংলাদেশের অর্থনীতিকেই শুধু পাল্টে দেয়নি, পাল্টে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। কোভিড-১৯ সারাদেশের যখন স্থলপথ, জলপথ, আকাশ পথ স্থবির করে দিয়েছে তখন ডিজিটাল টেলিকম ব্যবস্থা বৈশ্বিক কঠিন দুর্যোগের সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে দিয়েছে। ঘরে বসে মানুষ ব্যাংকিং ও ডিজিটার কমার্স থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কেনাকাটা, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে টেলিকনফারেন্সসহ অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে আর এটাই হলো শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন মানুষও এই সুবিধা থেকে বাদ যায়নি। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। ঢাকা, প্রথম লেখা ১ আগস্ট ২০২০, সর্বশেষ সম্পাদনা ১৫ আগস্ট ২০২০ মতামত লেখকের নিজস্ব। লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক [email protected] www.bijoyekushe.net, www.bijoydigital.com
×