ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন রোনালদিনহো

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ১২ আগস্ট ২০২০

জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন রোনালদিনহো

অনলাইন ডেস্ক ॥ জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে ঢোকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া রোনালদিনহো ২৪ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছেন। ব্রাজিলিয় ফুটবল কিংবদন্তিকে রাজধানী আসুনসিয়ন থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকার সঙ্গে তার ভাইকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারপতি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রোনালদিনহো চলতি মাসেই ছাড়া পেতে চলেছেন। জাল পাসপোর্ট নিয়ে ঢোকার অভিযোগে প্যারাগুয়েতে পাঁচ মাস ধরে আটক রয়েছেন তিনি। ২৪ অগস্ট মুক্তি পেতে পারেন সাবেক বার্সেলোনা, এসি মিলান এবং পিএসজি তারকা। ভাই রবের্তো-সহ ব্রাজিলিও এই ফুটবল তারকাকে জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়ে প্রবেশের অভিযোগে ৬ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। প্রায় এক মাস জেলে কাটান ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয় ফুটবলারকে পলমারোগা হোটেল থেকে আটক করা হয়েছিল। তবে মাসখানেক কারাগারে থাকার পর ১৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন পেলেও দেশ ছাড়ার অনুমতি পাননি। গৃহবন্দি করে রাখা হয় ব্রাজিলের এই কিংবদন্তি ফুটবলারকে। বিচারক গুস্তাভো আমরিলা রোনালদিনহোর ভাইদের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি দিন ধার্য করেছেন ২৪ আগস্ট। প্রসিকিউটর বিচারকের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন যাতে লেখা রয়েছে দেশে ফেরার জন্য ৪০ বছর বয়সি রোনালদিনহোকে “সামাজিক ক্ষতিপূরণ” হিসেবে ৯০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে। তবে তিনি ব্রাজিলে অর্থাৎ নিজের দেশে ফিরে যেতে পারবেন। শুধু তাই নয়, দেশে ফিরলেও মামলা চলাকালীন তিন মাস পর তাকে বিচারকের সামনে হাজির দিতে হবে। রোনালদিনহো পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন জাল পাসপোর্টের বিষয়টি তিনি জানতেন না। কিন্তু তার ভাই ভুয়ো পাসপোর্ট সম্পর্কে জানতেন। তাই ভাইয়ের জরিমানা বেশি হবে। ভাইকে এক লক্ষ ১০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে এবং প্রতি তিন মাস অন্তর দুই বছরের জন্য বিচারকের সামনে হাজিরা দিতে হবে। প্রসিকিউটর অবশ্য ভাই রবার্তোর জন্য দুই বছরের কারাদণ্ডেরও অনুরোধ করেছিলেন। তিনি হলেন রোনালদিনহোর বিজনেস ম্যানেজারও। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পুলিশের হাতে অপরাধমূলক কাজের জন্য ধরা পড়েছেন রোনালদিনহো। ২০১৮ সালে ব্রাজিল সরকারের অনুমতি ছাড়াই সাবেক ফিশিং ট্র্যাপ তৈরি করেছিলেন এই তারকা ফুটবলার। এর জন্য তার বিশাল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল। সেই টাকা শোধ করতে না-পারায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তার পাসপোর্ট। দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতিও ছিল না কিংবদন্তি এই ফুটবলারের। তবে ফুটবল কেরিয়ারে সারা বিশ্বের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন ব্রাজিলিও এই খেলোয়াড়। ২০১৫ সালে শেষবার পেশাদার ফুটবল খেলেন রোনালদিনহো। দেশকে ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতানো ছাড়াও ২০০৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী বার্সালোনা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রোনালদিনহো। ২০০৪ ও ২০০৫ টানা দু’বার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারও জেতেন রোনালদিনহো।
×