ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মাস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৩, ১১ আগস্ট ২০২০

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মাস্ক

অনলাইন ডেস্ক ॥ সোনা ও হীরায় মোড়ানো বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মাস্ক তৈরি করছে ইসরায়েলি একটি গহনা কোম্পানি। ১৫ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের এই মাস্ক অর্ডার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত চীনা এক ব্যবসায়ী। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি বলছে, ১৮ ক্যারেট সাদা সোনার মাস্কে ৩ হাজার ৬০০টি সাদা-কালো হীরার টুকরা বসিয়ে মাস্কটি তৈরি করছেন ডিজাইনার আইজ্যাক লেভি। তিনি বলেন, ক্রেতার অনুরোধে মাস্কের উপরের অংশে বসানো হবে উচ্চমানের এন-৯৯ ফিল্টার। ওয়াইভেল নামের ইসরায়েলি কোম্পানিটির মালিক লেভি। তিনি বলেন, ক্রেতার আরও দুটি চাহিদা ছিল: চলতি বছরের মধ্যেই এর কাজ শেষ করতে হবে এবং এটাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মাস্ক। শেষ শর্তের জবাবে লেভি ক্রেতাকে জানান, এসব চাহিদা পূরণ করা একদম সহজ কাজ। ক্রেতার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি লেভি। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই মাস্কের ক্রেতা একজন চীনা ব্যবসায়ী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। মাস্কটি তৈরিতে ১৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা) ব্যয় হবে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জনসম্মুখে মাস্ক পরা এখন প্রায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক পরছেন মানুষ। কিন্তু চীনা ওই ব্যবসায়ী যে মাস্কটি অর্ডার করেছেন, সেটি সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্কের তুলনায় প্রায় একশ গুণ বেশি ওজনের। লেভি বলেন, মাস্কটি তৈরি শেষ হলে এর ওজন দাঁড়াবে ২৭০ গ্রামে। ওজন বেশি হওয়ায় এটি সবসময় ব্যবহার করার সম্ভাবনা কম।জেরুজালেমের কাছে কারখানায় গিয়েছিলেন এপির সাংবাদিক। এ সময় তাকে বেশ কিছু সোনা ও হীরা খচিত মাস্ক দেখান লেভি। মাস্কের ওপরের অংশে যে ফিল্টার ব্যবহৃত হয়; সেটিও সোনার তৈরি। লেভি বলেন, অর্থ থাকলে হয়তো সবকিছু কেনা যায় না। কিন্তু যদি একটি ব্যয়বহুল কোভিড-১৯ মাস্ক কিনে ঘুরে বেড়ালে মানুষের দৃষ্টি কাড়তে পারবে। এতে ক্রেতা খুশি হবেন। যখন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছেন অথবা কর্মহীন হচ্ছেন তখন এমন ব্যয়বহুল মাস্ক নিয়ে ভুল ধারণা তৈরি হবে কিনা? লেভি বলেন, তিনি নিজে এটা পরবেন না। তৈরি করার সুযোগ পাওয়ায় ক্রেতার প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি। ইসরায়েলি এই ডিজাইনার বলেন, আমি অনেক খুশি। মাস্কটি আমাদের বিশাল কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানের এই কঠিন প্রতিকূল সময়েও আমাদের কর্মীদের কাজ দিয়েছে এই মাস্ক।
×