ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবার কোর্টে ফেরা চ্যালেঞ্জ ॥ সিমোনা

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২ জুন ২০২০

আবার কোর্টে ফেরা চ্যালেঞ্জ ॥ সিমোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে গোটা দুনিয়া তছনছ হয়ে পড়েছে। ক্রীড়াঙ্গনও স্তব্ধ হয়ে পড়েছে এই সময়টাতে। তবে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যার ফলে খেলাও ফিরতে শুরু করেছে। তবে করোনাভাইরাসের পর আবারও টেনিস কোর্টে ফেরাটা খুব কঠিন হবে বলে মনে করছেন রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ। এ প্রসঙ্গে দুটি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হ্যালেপ বলেন, ‘আমি জানি না এই সময়টাতে অন্য খেলোয়াড়রা কী করেছেন। তবে হয়তো কেউ কেউ দৌড়ানোর কাজটা খুব ভালভাবেই করেছেন। অনেকেই হয়তো শক্তি বাড়ানোর ওয়ার্কআউট করেছেন। কে কী করেছেন সে বিষয়ে আমি তেমন ভাল জানি না। এ বিষয়ে কোন রকমের ধারণাও করতে পারছি না। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, দীর্ঘসময় কোর্টের বাইরে থেকে আবারও ফেরাটা আমার জন্য খুব কঠিন হবে। এই সময়ে কোন অফিসিয়াল ম্যাচ না খেলায় আমার কাছে বিষয়টা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’ চোট কিংবা অন্য কোন কারণে এর আগেও কোর্ট থেকে ছিটকে পড়েছেন সিমোনা হ্যালেপ। তবে লকডাউনের আসে সেটা সর্বোচ্চ ৩-৪ সপ্তাহের ব্যবধান ছিল। অথচ, গত তিনমাস ধরে কোনরকমের ম্যাচ খেলেননি তিনি। এ বিষয়ে হ্যালেপ বলেন, ‘লকডাউনের আগে টেনিসে আমার সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতি ছিল সর্বোচ্চ ৩-৪ সপ্তাহের। এই বিরতি থেকে টেনিস কোর্টে ফেরাটাই আমার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াত। কেননা তখন দেখা যেতো গতি কিংবা ফোকাস রাখাটাই খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল।’ চলতি বছরের শুরুটা খুব ভালই করেছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। অসাধারণ পারফর্ম করেই মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের টিেিট কেটেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ চারের লড়াইয়ে স্প্যানিশ টেনিস তারকা গারবিন মুগুরুজার কাছে হেরে যান এই রোমানিয়ান তারকা। তবে দুবাইয়েই বাজিমাত করেন তিনি। দুর্দান্ত খেলেই দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন হ্যালেপ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে এলিনা রিবাকিনাকে হারিয়ে বছরের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পান। টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই হ্যালেপ কঠিন লড়াইয়ের পর ৩-৬, ৬-৩ এবং ৭-৬ (৭/৫) ব্যবধানে পরাজিত করেন রাশিয়ান বংশোদ্ভূত কাজাখ তারকাকে। সেইসঙ্গে দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা উচিয়ে ধরেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। দীর্ঘ ৫ বছর পর আবারও এই টুর্নামেন্টের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা। চলতি মৌসুমে এটা ছিল হ্যালেপের তৃতীয় টুর্নামেন্ট। এরপর ইন্ডিয়ান ওয়েলস থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন সিমোনা হ্যালেপ। প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন মিয়ামি ওপেনে ফেরার জন্য। কিন্তু এরপরই শুরু হয়ে যায় করোনাভাইরাসের বিস্তার। গোটা দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে টেনিসের সব ধরনের টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে পড়ে। উইম্বলডন তো বাতিলই হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম উইম্বলডন হচ্ছে না। সবকিছু সঠিকভাবে এগুলে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আবারও কোর্টে ফিরবে টেনিস। তবে ইতোমধ্যেই কিছু কিছু দেশে লকডাউন শিথিল করায় টেনিস খেলা শুরু করেছেন খেলোয়াড়রা। বিশেষ করে চেক প্রজাতন্ত্র এখন টেনিস খেলার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। তবে কড়া বিধি-নিষিধের মধ্যেই খেলতে হবে। সিমোনা হ্যালেপও ধীরে ধীরে নতুন এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে টেনিস ছাড়াই সুখে জীবন-যাপন করছিলাম আমি। তবে ধীরে ধীরে নতুন অনুভূতি, নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি নিজেকে।’ ২০১৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন এই রোমানিয়ান। পরের বছরে উইম্বলডনেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে থাকা এই তারকা খেলোয়াড়।
×