ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম ইপিজেডের অর্ধশতাধিক কারখানায় লেঅফ ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২২ এপ্রিল ২০২০

চট্টগ্রাম ইপিজেডের অর্ধশতাধিক কারখানায় লেঅফ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম ইপিজেডের (সিইপিজেড) অর্ধশতাধিক কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ^জুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের বায়াররা অর্ডার বাতিল করেছে। এমনকি রফতানির জন্য প্রস্তুত এমন পোশাক সামগ্রী বা উৎপাদিত অন্যান্য সামগ্রীর শিপমেন্টও বাতিল করেছে। এ অবস্থায় সিপিজেডের ৪৬টি এবং কর্ণফুলী ইপিজেডের ২৩ কারখানা বিভিন্ন মেয়াদে লে-অফের আবেদন করলে বেপজা কর্তৃপক্ষ এতে অনুমোদন দেয়। কারখানা মালিকদের বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিশেষ ব্যবস্থায় কারখানা খোলা রাখার যে আহ্বান রয়েছে তাতে তারা সাড়া দিতে পারছেন না। কেননা, কারখানাসমূহে উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট করার ওপর না করেছে বায়াররা। এছাড়া বহু বায়ার ইতোপূর্বে প্রদত্ত তাদের অর্ডার বাতিল করেছে। নতুন অর্ডার প্রাপ্তির প্রশ্নই আসে না। সূত্রে আরও জানানো হয়, ইপিজেড আইনে বলা আছে, আপতকালে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে, মহামারী বা কাঁচামাল সঙ্কটে শ্রমিকদের কাজ দিতে অক্ষম হলে ১০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত নোটিসে কারখানা লে-অফ করা যাবে। প্রয়োজনে লে-অফ আরও পনেরো দিন বাড়ানো যায়। তবে এ সময়ে সংশ্লিষ্ট কারখানা শ্রমিকরা চাকরি হারাবে না। নিয়মানুযায়ী বেতন ও আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা পাবেন। মালিকদের বিভিন্ন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, করোনা নিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের পোশাক কারখানাগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। নামদামী ব্র্যান্ডগুলোর শোরুম লকডাউনের আওতায় রয়েছে। ফলে বায়াররা প্রতিনিয়ত অর্ডার বাতিলের বার্তা দিচ্ছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, চট্টগ্রামের এ দুই ইপিজেডে লে-অফ হওয়া কারখানাসমূহে পোশাক, জুতা, তাঁবু, ফেব্রিক্স, ইলেক্ট্র্রনিক সামগ্রী ইত্যাদি পণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে এসব পণ্য বিদেশে রফতানি হয়। এছাড়া সিইপিজেডে ১৫৮ দেশী বিদেশী কারখানা এবং কর্ণফুলী ইপিজেডে ৪১ কারখানায় প্রায় পৌনে ৩ লাখ শ্রমিক কাজে নিয়োজিত।
×