ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএল ফুটবলে রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে আবাহনীর ঘাম ঝরানো জয়

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২ মার্চ ২০২০

  বিপিএল ফুটবলে রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে আবাহনীর ঘাম ঝরানো জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চারদিনের বিরতির পর রবিবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের খেলা। এদিন একটিই খেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের মুখোমুখি হয় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। খেলায় আবাহনী জেতে ১-০ গোলে। চলতি লীগে এ নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল মারিও লেমোসের শিষ্যরা। তবে এই ম্যাচে জিতলেও যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হয়েছে ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনীর। আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ড্র করে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল তারা। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট ২০১৭-১৮ মৌসুমের শিরোপাধারীদের। রবিবার রহমতগঞ্জের সঙ্গে পুরনো একটি হিসেব চুকানোর ব্যাপার ছিল আবাহনীর। কেননা মৌসুম শুরুর প্রথম আসর ফেডারেশন কাপে এই রহমতগঞ্জের কাছেই টাইব্রেকারে ৪-৩ (১-১) গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। তাই রবিবার রহমতগঞ্জকে হারিয়ে কড়ায়-গন্ডায় প্রতিশোধ নিল আকাশী-নীল শিবির। পক্ষান্তরে হারলেও দারুণ সমীহ জাগানিয়া ম্যাচ খেলেছে ‘জায়ান্ট কিলার’ খ্যাত পুরনো ঢাকার ক্লাব এবং ১৯৭৭ সালের লীগ রানার্সআপ রহমতগঞ্জ। ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গে হানা দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে খেলার কৌশল অবলম্বন করে আবাহনী। পঞ্চম মিনিটেই গোল পেতে পারত তারা। তাদের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কারভেন্স ফিলস বেলফোর্ট প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক বরাবর শট নেন। ১৩ মিনিটে দলীয় অধিনায়ক এবং ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন ২৫ গজ দূর থেকে যে শটটি নেন তা চমৎকার দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। প্রথমার্ধে দুই দল কোন গোল করতে না পারায় ০-০ স্কোরলাইন নিয়েই বিরতিতে যায় উভয় দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এডগার বের্নহার্টের শট লিটন প্রতিহত করলে আক্ষেপ বাড়ে আবাহনীর। অবশেষে তাদের সেই আক্ষেপ দূর হয় ৫৫ মিনিটে। কাক্সিক্ষত গোলের সন্ধান পেয়ে যায় তারা। মামুনুল ইসলামের ফ্রি কিকে বেলফোর্ট মাথা ছোঁয়ানোর পর বক্সের ভেতরে জীবন যে হেড করেন তা আশ্রয় নেয় জালে। এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। যদিও রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়দের অফসাইডের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি নাহিদ। ৬৭ মিনিটে সাদ উদ্দিনের বাড়ানো বল চিজোবা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক বরাবর মেরে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেন। আট মিনিট পর গিনির ফরোয়ার্ড ইউনুসা কামারার হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে সমতায় ফেরার সেরা সুযোগ নষ্ট করে রহমতগঞ্জ। এক গোলে এগিয়ে থাকাটা সবসময়ই বিপজ্জনক। তাই আরেকটি গোল করলে একটু নিশ্চিন্ত থাকা যায় জয়ের ব্যাপারে। এ জন্য শেষদিকে ব্যবধান বাড়াতে আবাহনী মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পায়নি। ৭৯ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বেলফোর্ট ব্যর্থ হন গোল করতে।
×